অচেতন রোগী ঘরে, কি করি তার তরে – ডাঃ মোঃ বজলুল করিম চৌধুরী

অচেতন রোগী ঘরে, কি করি তার তরে – ডাঃ মোঃ বজলুল করিম চৌধুরী

babar.pমারুফের দাদা হঠাৎ অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে দীর্ঘদিন পড়ে আছেন। শুনেছি তার নাকি স্ট্রোক করেছে। এ পর্যন্তই। আর বেশি কিছু জানা হয়নি। মারুফ যদিও আমার ক্লাসমেট কিন্তু একটু দূরে থাকে বলে সচরাচর দেখা হয় না। তাছাড়া সেও খুব একটা বন্ধু বাৎসল ছিল না সেই ছোটবেলা থেকেই।
সেদিন মারুফ বিচলিত হয়ে আমার কাছে এলো। খুব চিন্তিত সে। বললো, মনটা খুব খারাপ বন্ধু। শুনেছ নিশ্চয়ই প্রায় মাস দু’এক হলো আমার দাদার স্ট্র্রোক হয়েছে। এখন পর্যন্ত জ্ঞান ফিরেনি। এতদিন হাসপাতালে ছিলেন। খরচের কথা বাদই দিলাম, গতকাল হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দিয়েছে। বাসাতেই নাকি তার চিকিৎসা চালাতে হবে। এখন কি যে করি! এমন একজন অচেতন রোগীকে বাসায় কিভাবে যে সামাল দেই । তুমি যদি একটু দেখতে ভাই।
এক নিঃশ্বাসে মারুফ কথাগুলো বলে একটু দম নিল। আমি তার থেকে আরো কিছু তথ্য নেয়ার পর জানতে চাইলাম রোগীর কিছু পুরোনো ইতিহাস, সেই সাথে সাম্প্র্রতিক কালের পরীক্ষা নিরীক্ষার বিষয়বস্তু। মারুফ তার কিছু তথ্য দিতে পারলেও প্রয়োজনীয় অনেক বিষয়েই সে জানাতে না পারায় আমি তাকে তার দাদার হাসপাতালে অবস্থানকালীন সবগুলো কাগজপত্র দেখাতে বললাম। পরদিন মারুফ সব নথিপত্র নিয়ে হাজির হলে আমি তার সবগুলো মনোযোগ দিয়ে দেখার পর বললাম, তোমার দাদার দেখছি ব্র্রেনের একটি ভাইটাল জায়গায় স্ট্রোকের কারণে ক্ষতি হয়েছে, তাই উনি কথা বলতে পারছেন না। তাছাড়া অচেতন রয়েছেন আজ পর্যন্ত।
: আচ্ছা বন্ধু, স্ট্রোক জিনিষটা কি, আমাকে একটু বুঝিয়ে বলবে কি? মারুফের প্রশ্ন।
: স্ট্র্রোক হচ্ছে ব্রেনের কোনো একটা অংশ হঠাৎ করেই নষ্ট হয়ে যাওয়া। এতে করে সংশ্লিষ্ট অনেকগুলো কোষ-কলা ধ্বংস হয়ে যাওয়ায় ব্রেনের সে অংশের নির্ধারিত ক্রিয়া-কর্ম বন্ধ হয়ে যায়। আর তুমিতো জানই দেহের সব কাজ-কর্ম ও অনুভূতির নিয়ন্ত্রক হচ্ছে ব্রেন। আবার ব্রেনের বিভিন্ন অংশ ভিন্ন ভিন্ন কাজের দায়িত্ব পালন করে।
: এ ঘটনাটা হঠাৎ করে কেন হয় একটু বলবে কি?
: অনেক কারণেই এ ঘটনাগুলো ঘটে থাকে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে উচ্চ রক্তচাপ। তাছাড়া এথারোস্কে¬রোসিস (Atherosclerosis) জনিত কারণে ব্রেনের রক্তনালী সংকুচিত হয়ে গেলে কিংবা দেহের অন্য কোনো স্থান থেকে কোনো অদ্রবণীয় শক্ত পদার্থ (emboli)রক্ত প্রবাহের সাথে ব্রেনে এসে সেখানকার কোনো একটা নালীতে রক্ত চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করলেও স্ট্রোক হতে পারে।
: রক্তনালী সরু কিংবা বন্ধ হয়ে গেলেই স্ট্রোক হবে কেন?
: স্ট্র্রোক হবে এজন্য যে তখন ব্রেনের নির্ধারিত অংশে প্রয়োজনীয় খাবার এবং অক্সিজেন সরবরাহে বিঘœ ঘটে। মজার ব্যাপার কি, ব্রেন টিস্যুগুলো দেহের অন্যান্য টিস্যুর তুলনায় খুবই নাজুক প্রকৃতির, তাই খাবার কিংবা অক্সিজেন সরবরাহে বাধা সৃষ্টি হলে সবার আগেই ধভভবপঃ করে ব্রেন টিস্যুতে। তোমার দাদার প্রথমে কি হয়েছিল?
: দাদাতো অনেক দিন থেকেই প্রেসারের ঔষধ খাচ্ছিলেন। সেদিন কি হয়েছিল জানি না, হঠাৎ বাথরুমে গিয়ে পড়ে গেলেন। তারপর সেই যে অচেতন হলেন, আজ পর্যন্ত জ্ঞানই ফিরলো না। চিকিৎসায় এখন প্রেসার কন্ট্রোলে আছে। মাঝে মাঝে একটু আধটু শব্দও করেন। তাছাড়া কেউ কাছে গেলে মনে হয় যেন উনি কিছুটা বুঝতেও পারেন। এখন বলতো ভাই দাদা কি আর ভালো হবে না?
: সব কিছু দেখে আমি যা বুঝলাম তাতে ভালো হওয়া না হওয়ার বিষয়ে এখনও স্পষ্ট কিছু বলা যায় না, তবে ঠিক মত কেয়ার (Care) নিলে এধরনের রোগীর উন্নতি হয় না যে তা নয়। হাসপাতালের ডাক্তার সাহেবরা কি বলেছেন?
: উনারাতো এমনটাই বললেন। তারাও গুরুত্ব দিলেন নার্সিংয়ের বিষয়ে। হাসপাতালে নাকি এখন আর থাকার প্রয়োজন নেই।
: ঠিক তাই। এ রোগীর এখন চিকিৎসার চেয়েও বেশি গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে প্রপার (Proper) নার্সিং। এটা যদি ধৈর্য ধরে যত্নের সাথে করে যেতে পার, আশা করা যায় তোমার দাদার উন্নতি হবে।
: এব্যাপারে তোমার আন্তরিক সহযোগিতা চাচ্ছি ভাই।
: অবশ্যই সেটা পাবে। তার আগে কিছু বিষয়ে তোমার জানা দরকার–। সাধারণত দুই প্রক্রিয়ায় স্ট্রোক হয়ে থাকে। প্রথমত ব্রেন টিস্যুর কোথাও কিছু অংশ মরে গেলে, যা তোমার দাদার ক্ষেত্রে হয়েছে। আর দ্বিতীয় ধরনটি হলো ব্রেনের ভিতর কোথাও রক্তনালী ছিঁড়ে গিয়ে সেখানে রক্তক্ষরণ হতে থাকলে এক পর্যায়ে সেই রক্ত ব্রেনের উপর চাপ সৃষ্টি করে এবং এক সময় স্ট্র্রোক হতে পারে। এ দুই ধরনের স্ট্রোকের চিকিৎসা ব্যবস্থাও তাই ভিন্ন। ব্রেনের কিছু অংশ নষ্ট হয়ে গিয়ে যে ধরনের স্ট্র্রোক হয় তার সম্পূর্ণ চিকিৎসা রোগীর লক্ষণ ও ধরন অনুযায়ী ঔষধ এবং সেবা নির্ভর। এই অবস্থা থেকে উৎরানোর গতিও সাধারণতঃ ধীর এবং সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে পূর্বাবস্থায় ফিরে আসার সম্ভাবনাও খুব কম। তবে সেটাও নির্ভর করে ব্রেনের ক্ষতির পরিমাণ এবং তার অবস্থানের উপর। আর দ্বিতীয় ধরনের স্ট্রোকের কারণ যেহেতু রক্ত ক্ষরণ জনিত তাই এর চিকিৎসা ব্যবস্থাও সম্পূর্ণ আলাদা। স্বল্প মাত্রায় রক্ত ক্ষরণ হয়ে যদি তা বন্ধ হয়ে যায় তবে সেক্ষেত্রেও ঔষধ এবং সেবার মাধ্যমে (conservative) রোগীর চিকিৎসা করা সম্ভব। তাতে এক সময় রোগী সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে উঠতে পারে। কিন্তু রক্তক্ষরণের পরিমাণ অনেক বেশি কিংবা যদি রক্তক্ষরণ বন্ধ না হয়ে চলতেই থাকে সে অবস্থায় ব্রেনে অপারেশন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নিলে অল্প সময়েই রোগী মৃত্যুর দ্বার প্রান্তে পৌঁছে যেতে পারে। কিন্তু সময় মত উপযুক্ত চিকিৎসা পেলে এসব রোগীর পক্ষে প্রায় সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে উঠা সম্ভব। আরেকটি ব্যাপার, কারণ যা-ই হোক না কেন, রোগী অচেতন থাকায় সবারই সাধারণ ব্যবস্থাপনা প্রায় একই। তোমার দাদার স্ট্রোকের ধরনটি যেহেতু ব্রেনের কিছুটা অংশ নষ্ট হয়ে যাওয়ার জন্য, তাই তার উন্নতিটাও (যদি হয়) অনেক ধীর এবং ধৈর্য ধরে এখন বাসাতেই ব্যবস্থা করা শ্রেয়।
: এখন তাহলে আমরা কি করতে পারি?
: রোগী অচেতন বিধায় একটু ঝামেলার বিষয় হচ্ছে তার খাবার-দাবার, প্রশ্রাব-পায়খানা এবং পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার বিষয়টা। এই মুহূূর্তে তোমার দাদার নাকে নিশ্চয়ই নল (Rylese tube), এবং প্রশ্রাবের জন্য ক্যাথেটার পড়ানো আছে, তাই না?
: হ্যাঁ, তাই আছে, এবং নাকের নল দিয়েই আমরা তাকে খাওয়াচ্ছি। ক্যাথেটারের মাধ্যমে প্রশ্রাবও হচ্ছে। ভয় হলো এর ব্যবহার না হয় আমরা বাড়িতে করতে পারলাম কিন্তু এগুলো খুলে গেলে কিংবা ঝামেলা হলে, যা হাসপাতালে দেখেছি, আমাদের পক্ষে তো Manage করা সম্ভব হবে না।
: তা হয়তো ঠিক। যে কোনো কারণে Ryleseটিউব অথবা ক্যাথেটার খুলে গেলে কিংবা বন্ধ হয়ে গেলে নতুন করে তোমাদের পক্ষে তা পড়ানো অসম্ভব। একটু Care নিলে সে অবস্থাতো প্রতিদিন হবে না। তবে একটি নির্দিষ্ট সময় পর পর এগুলো পরিবর্তন করতে হবে। এটুকুর জন্য একজন চিকিৎসক কিংবা অভিজ্ঞ নার্সের সহযোগিতা নিতে হতে পারে। তাছাড়া বাকি যে ব্যবস্থা সেটা তোমরা নিজেরাই বাসায় করে নিতে পারবে। চাইলে এ ব্যাপারে আমি তোমাকে সহযোগিতা অবশ্যই করবো।
: যাক আশ্বস্ত হলাম। এখন বাসায় আমাদের করণীয়টা একটু বিস্তারিত জানাবে কি?
: অবশ্যই। রোগী যেহেতু অচেতন তাই স্বাভাবিক নিয়মেই উনার শুয়ে থাকা ছাড়া গত্যান্তর নাই। খেয়াল রাখবে, উনি যেন বেশিক্ষণ চিৎ হয়ে শুয়ে না থাকেন। তাকে পাশ ফিরিয়ে রাখতে চেষ্টা করবে। তাছাড়া প্রতি দেড় থেকে দুই ঘন্টা পর পর পাশ পরিবর্তন করে দিতে হবে। মাথার নিচে কোনো বালিশ না দেয়াটাই উত্তম।
: এত ঘন ঘন পাশ পরিবর্তনের কারণ কি? মারুফের প্রশ্ন।
: দীর্ঘক্ষণ একই পাশে শুয়ে থাকলে চাপের কারণে রোগীর কোমর, পিঠ, কিংবা পাছার উপর এক ধরনের ক্ষত সৃষ্টি হয়ে ঘা হতে পারে, একে বলা হয় প্রেসার সোর (Pressure sore)বা বেড সোর (Bed sore)। এধরনের ঘা অচেতন রোগীদের জন্য খুবই মারাত্মক। একবার হয়ে গেলে সারিয়ে তোলা কঠিন।
: রোগীর খাবার বিষয়ে কিছু পরামর্শ দেবে কি?
: হ্যাঁ, আরেকটি গুরুত্বপূর্র্ণ বিষয় হলো রোগীর পর্যাপ্ত পরিমাণ খাবার ও পুষ্টির ব্যবস্থা করা। রোগী যেহেতু নিজে খেতে পারে না তাই তাকে নাকের নল দিয়ে তরল খাবার দিতে হবে। প্রতিদিন সকাল ৬টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত প্রতি দুই ঘন্টা পর পর ২৫০ মিলিলিটার করে সর্বোচ্চ ২৫০০ মিলিলিটার তরল খাবার দিতে হবে। বয়স ভেদে এর কিছুটা তারতম্য হতে পারে। খেয়াল রাখবে এই তরল খাবারের মধ্যে যেন খাবারের সবগুলো উপাদান পর্যাপ্ত পরিমাণে থাকে।
: সেটা কিভাবে করা যেতে পারে?
: প্রতি বেলা একই খাবার দিতে হবে তা নয় একেক বেলা একেক ধরনের খাবার দিবে, সেটা সবহঃধরহ করা সম্ভব। যেমন কখনো সব্জির স্যুপ ও ডাল দিতে পার। কখনো মাছ, মাংস, ডিম ইত্যাদি ভালোভাবে মিহি করে বেটে কিংবা ব্লেন্ড করে ছেঁকে নলের ভিতর দিয়ে দিতে পার। খেয়াল রাখবে খাবার যা-ই দিচ্ছ সেটা যেন নলের অপর প্রান্তের ছোট ছিদ্রগুলোকে বন্ধ না করে দেয়। তাহলে আবার ঝামেলায় পড়তে হবে। হ্যাঁ, যা বলছিলাম, খাবারের সাথে আরো দিতে পার ভাতের মাড়, কর্ণ স্যুপ কিংবা বার্লি। কখনো ফলের রস, কলা কিংবা ডাবের পানিও দেয়া যেতে পারে। তাছাড়া দুধ, হরলিক্স, মালটোভা ইত্যাদি খাবারও দেয়া যেতে পারে। ইদানিং কিছু তৈরি করা সম্পূরক মিশ্র ডায়েট বাজারে পাওয়া যায়, সেগুলোও যোগাড় করে দেয়া যেতে পারে। তবে ওগুলো যথেষ্ট ব্যয়বহুল। আরেকটি বিষয়, খাবার যা-ই হোক না কেন তা যেন পরিষ্কার পরিচ্ছন্নভাবে তৈরি করা হয়, না হলে আবার অন্য জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে।
: খাবারতো গেল, এবার পরিচর্যার বিষয়ে আরো কোনো পরামর্শ?
: হ্যাঁ, রোগীর ত্বকের ভাঁজগুলো অনেক সময় সেঁৎসেতে থাকে। তেমন অবস্থায় সেখানে ট্যালকম পাউডার দিয়ে রাখতে পার। তাছাড়া ত্বকে নিয়ম করে ম্যাসেজ করতে হবে। ঘাম, মল, মূত্র, কফ, খাবারের উচ্ছিষ্ট কিছু, বা রোগী বমি করলে তা সাথে সাথে পরিষ্কার করে ফেলতে হবে। খেয়াল রাখবে রোগীর ত্বক ও বিছানার পরিবেশ যেন শুকনা এবং পরিচ্ছন্ন থাকে। ত্বক অথবা দেহের কোনো অংশে ক্ষত কিংবা ঘা দেখা দিলে দেরি না করে তার যথাযথ চিকিৎসা করাতে হবে। চোখে নিয়মিত চোখের ড্রপ কিংবা মলম ব্যবহার করা প্রয়োজন।
: দাদার মুখের ভিতর কেমন যেন সাদা সাদা পর্দা জমে, এব্যাপারে কিছু কি করা দরকার?
: অবশ্যই, দিনে অন্ততঃ ২/৩ বার পরিষ্কার নরম কাপড়ে গ্লিসারিন ভিজিয়ে মুখের ভিতরটা সাফ করে দিতে হবে, সেই সাথে কিছু ঔষধ ব্যবহার করবে, যা আমি prescribe করে দেবো। এর বাইরেও যদি গলায় কফ কিংবা শ্লেষা আটকে যায় সেটা প্রয়োজনে সাকার (Sucker) মেশিন দিয়ে পরিষ্কার করে ফেলতে হবে। এছাড়াও আরো কিছু অত্যাবশ্যক করণীয় রয়েছে, যেমন ধর তাঁকে নিয়মিত ব্যায়াম করাতে হবে। নির্দেশনা অনুযায়ী ঔষধগুলো সময় মত সতর্কতার সাথে সেবন করাতে হবে। প্রতিদিন বিধিমত রোগীর তাপমাত্রা, রক্তচাপ ও শ্বাস-প্রশ্বাসের চার্ট করে তাতে লিখে রেকর্ড রাখতে হবে। সেই সাথে প্রতিদিন ২৪ ঘন্টায় যে পরিমাণ তরল খাবার দেয়া হয়েছে তার এবং যে পরিমাণ পানি মূত্রাকারে নির্গত হয়েছে তার হিসাব রাখতে হবে। প্রতি দুই থেকে তিন সপ্তাহ পর পর খাবার টিউব ও ক্যাথেটার পরিবর্তন করতে হবে। ও হ্যাঁ, তোমার দাদার ডায়াবেটিস আছে কি?
: না, এখন পর্যন্ত তো ডায়াবেটিস ধরা পড়েনি।
: ভালো কথা।
: ডায়াবেটিস হলে কি হতো?
: কাজ আরেকটু বাড়তো, এই আর কি। সেক্ষেত্রে রোগীর ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রক খাবার সরবরাহের পাশাপাশি নিয়মিত রক্ত ও প্রশ্রাব পরীক্ষা করে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন হতো।
: যা বললে সবই আমরা বাসায় ব্যবস্থা করতে পারবো আশা করি। তবে তুমি কি বল, দাদা সুস্থ হবেন তো?
: ধৈর্য এবং নিষ্ঠার সাথে যদি উনার চিকিৎসা ও সেবা শুশ্রুষা চালিয়ে যেতে পার তবে উনার জীবন রক্ষাসহ সার্বিক উন্নতি অবশ্যই আশা করা যায়।
অন্যান্য জেলা সংবাদ বাংলাদেশ বিজ্ঞান প্রযুক্তি শীর্ষ খবর