বৃটেনের ভিসা পাওয়ার জন্য বাংলাদেশিদের দিল্লি যেতে হবে না বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত বৃটিশ ডেপুটি হাইকমিশনার নিক লো।
সোমবার সিলেটে সুধীজনদের সঙ্গে ইফতারপূর্বক এক আলোচনা সভায় তিনি একথা জানান। বৃটিশ হাইকমিশনের কনস্যুলার সেকশনের উদ্যোগে নগরীর রোজভিউ হোটেলে এ ইফতার মাহফিলের আয়োজন করা হয়।
সভায় ঢাকা থেকে বৃটিশ ভিসা প্রসেসিংয়ের কার্যক্রম দিল্লিতে স্থানান্তর বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে নিক লো বলেন, “বৃটিশ ভিসা প্রসেসিংয়ের জন্য কাউকেই দিল্লি যেতে হবে না। বাংলাদেশ থেকেই ভিসার জন্য আবেদন করা যাবে, সেটা স্ক্যান করে দিল্লি পাঠানো হবে। সেখান থেকে যাচাই-বাছাই শেষে ভিসা দেয়া না দেয়ার সিদ্ধান্ত হবে।”
তিনি বলেন, “বৃটিশ ভিসার আবেদনকারী এখন যে সময় ও অর্থ ব্যয় করে ভিসার জন্য আবেদন করেন, একই সময় ও অর্থ ব্যয়ে দিল্লিতেও তারা ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। এক্ষেত্রে সময় কিংবা অর্থ কোনোটাই বাড়বে না।”
লো আরো বলেন, “বৃটিশ হাইকমিশনের ব্যয় কমানোর জন্যই এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।”
এ সময় তিনি উদাহরণ টেনে বলেন, “দক্ষিণ আমেরিকার ১০টি দেশের ভিসা একটি দেশ থেকেই প্রসেসিং করা হয়। তাছাড়া শুধু বাংলাদেশিদেরই নয়, শ্রীলঙ্কানদের জন্যও বৃটিশ ভিসা প্রসেসিং দিল্লি থেকে করা হবে।”
এক্ষেত্রে ভিসা প্রসেসিংয়ে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে না বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
আলোচনা সভায় সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী সিলেটে পূর্ণাঙ্গ ভিসা সেন্টার স্থাপনের জন্য নিক লোর কাছে দাবি জানান। এ সময় বৃটিশ হাইকমিশনের কনস্যুলার হাসিনা রহমান, সিলেটের জেলা প্রশাসক শহিদুল ইসলাম, বিভাগীয় কমিশনার সাজ্জাদুল হাসান ও সিলেট মহানগরের পুলিশ কমিশনার মিজানুর রহমানসহ উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ও পেশাজীবী সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি বৃটিশ ভিসা প্রসেসিংয়ের কার্যক্রম দিল্লিতে স্থানান্তর হচ্ছে গণমাধ্যমে এ খবর প্রকাশিত হওয়ার পর থেকে বৃটেন প্রবাসীদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ ও উদ্বেগ দেখা দেয়। তারা আন্দোলনের প্রস্তুতিও নেন।