জীবাণু বিরোধী ঔষধঃ অপব্যবহার ও ভয়াবহতা  ডাঃ মোঃ বজলুল করিম চৌধুরী

জীবাণু বিরোধী ঔষধঃ অপব্যবহার ও ভয়াবহতা ডাঃ মোঃ বজলুল করিম চৌধুরী

babarmসেদিন রহমান সাহেব চেম্বারে এলেন। স্বভাব সুলভ রসিকতা নেই, খুবই উদ্বিগ্ন তিনি। আমি তাকে পাশে বসিয়ে কারণ জানতে চাওয়ার আগেই উনি বলতে শুরু করলেন, ভাই একটি বিষয় আপনাকে জানানো হয়নি। কত আর বিরক্ত করবো, তাই ভেবেছিলাম না বলেই যদি সংকট কাটিয়ে উঠা যায়। কিন্তু তাতো হলোই না বরং আরো খারাপ পরিস্থিতি নিয়ে আপনার কাছে আসতে হলো।
: হয়েছেটা কি বলেই ফেলুন না, এত দুশ্চিন্তা করলে কি হবে?
: না ভাই, আসলে হয়েছে কি আমার ছোট ছেলেটা, সাদমান, ১২ বছর বয়স। এখন থেকে ২০/২৫ দিন আগে প্র¯্রাবে তার খুব যন্ত্রণা হচ্ছিল। সাথে জ্বরও ছিল। আমি আপনার কাছে আনতে চেয়েছিলাম, কিন্তু আমার ওয়াইফ অন্য একজন ডাক্তার দেখিয়ে ঔষধ খাওয়ানো শুরু করে দেয়।
: তারপর?
: ডাক্তার সাহেব বেশ কয়েক দিনের ঔষধ দিয়েছিল, কিন্তু ৩/৪ দিন ঔষধ খাওয়ানোর পরই তার অবস্থা ভালো হয়ে যায়। তাই…..।
: তাই আর কি, ঔষধ খাওয়ানো বাদ দিয়ে দিয়েছেন এইতো? আমি কৌতূহল নিয়ে জানতে চাইলাম।
: হ্যাঁ, তাই হয়েছে। ৩/৪ দিন ঔষধ খাওয়ানোর পর আর ঔষধ কেনা হয়নি…..। এতদিন ভালোই ছিল কিন্তু গত পরশু দিন থেকে আবার প্রচ- জ্বর উঠেছে সাথে আবার প্র¯্রাবের যন্ত্রণা। পুরোনো প্রেসক্রিপশন দেখে সেদিনই আবার ঔষধ খাওয়ানো শুরু করেছি। ভেবেছিলাম সেরে যাবে, কিন্তু তিন দিন হয়ে গেল, কিছুতেই কিছু হচ্ছে না। জ্বর বেড়েই যাচ্ছে, শীত করে কাঁপুনি দিয়ে জ্বর আসছে। ভাই আপনি একটা ব্যবস্থা করেন।
: ব্যবস্থাতো করতেই হবে, কিন্তু রহমান সাহেব, আপনি একজন শিক্ষিত মানুষ হয়ে যে কাজ করেছেন তা ক্ষমার অযোগ্য। সাদমানের এ অবস্থার জন্য সম্পূর্ণ দায়ী আপনি।
: আমি দায়ী! রহমান সাহেবের মুখে বিষ্ময়।
: অবশ্যই। সহজ রোগটিকে অসম্পূর্ণ চিকিৎসা দিয়ে জটিল করেছেন আপনারা। শুধু আপনি কেন, এ কাজটি অনেকেই করে থাকেন। আর তার জন্য খেসারত দিতে হচ্ছে গোটা জাতিকে।
: ভাই হেঁয়ালি না করে একটু খোলাসা করে বলেন বিষয়টা কি! এর মাঝে আমি আবার কেন জড়ালাম। শুধু ছেলের জন্য নয়, দেশ ও জাতির জন্যও হুমকি হয়ে উঠলাম!
: ঠিক আছে একটু ধৈর্য ধরে বসুন। ছেলের চিকিৎসা হবে আশা করি, তার আগে দরকার আপনার চিকিৎসা। আমি বলতে শুরু করলাম…। স্পষ্টতই আপনার কথা থেকে বুঝতে পারছি আপনার ছেলের মূত্রনালীতে সংক্রমণ (infection) হয়েছে, যা একটি জীবাণু ঘটিত সংক্রামক রোগ। বিভিন্ন ধরনের জীবাণু যেমন ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস, ফাংগাস কিংবা প্যারাসাইট দিয়ে এ রোগ হতে পারে। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এ রোগ ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের জন্যই হতে দেখা যায়। শুধু তাই নয়, এসব রোগ সৃষ্টিকারী জীবাণু একজনের দেহ থেকে অন্যজনের দেহে ছড়িয়ে থাকে। জীবাণু ঘটিত যে কোনো রোগের সাধারণ বৈশিষ্ট্য হলো, জীবাণুগুলো যে কোনো মাধ্যমে (হতে পারে সেটা খাবার, পানিয় কিংবা শ্বাসের সাথে অথবা স্পর্শ জনিত কারণে) শরীরে ঢুকার পর কোনো একটি পছন্দনীয় অংশে বসত গড়ে এবং সংখ্যায় বৃদ্ধি পেতে থাকে। এক পর্যায়ে এদের সংখ্যা বৃদ্ধি পেতে পেতে রোগ সৃষ্টির অবস্থায় এলে তবেই দেহে রোগের লক্ষণ প্রকাশ পায়। তাই জীবাণুগুলো শরীরে ঢুকা এবং রোগ সৃষ্টির পর্যায়ে আসা পর্যন্ত কিছুটা সময়ের প্রয়োজন হয়। সেটা দিন কিংবা মাস কিংবা বছরও হতে পারে। আপনার ছেলের ক্ষেত্রে যেটি হয়েছিল সেটিও ছিল তেমনি একটি জীবাণু ঘটিত রোগ, যা তার মূত্রযন্ত্রকে আক্রান্ত করেছে এবং সেখানে অবস্থান করে রোগ সৃষ্টি করেছে। একেই আমরা বলছি মূত্রনালীর সংক্রমণ বা urinary tract infection সংক্ষেপে যাকে বলে UTI
আপনার নিশ্চয়ই জানা আছে যে আমাদের দেহের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা (immune system ) সর্বদাই এসব রোগ প্রতিরোধের বিষয়ে কার্যকর থাকে, কিন্তু সংক্রমণের তীব্রতা যখন অনেক বেড়ে গিয়ে স্বাভাবিক প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে পরাস্থ করে তখনই আমরা অসুস্থ হয়ে যাই। তাই সহজেই অনুমেয়, জীবাণু দ্বারা আক্রান্ত হলে শরীরের স্বাভাবিক প্রতিরোধ ব্যবস্থা তাদের নিরাময়ের ব্যাপারে সচেষ্ট হলেও সব ক্ষেত্রে কার্যকর নাও হতে পারে। তেমন পরিস্থিতিতে প্রয়োজন হয় বাহির থেকে সরবরাহকৃত জীবাণু প্রতিরোধক ঔষধ (antimicrobial drugs )। এধরনের ঔষধ শরীরে প্রবেশ ঘটানোর পর (খাওয়া, ইনজেকশন কিংবা অন্য কোনো উপায়ে) তারা রক্ত সরবরাহের মাধ্যমে (blood circulation ) জীবাণু সংক্রামিত স্থানে পৌঁছায় এবং বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় সেই জীবাণুসমূহকে ধ্বংস করে আমাদেরকে সুস্থাবস্থায় ফিরিয়ে আনে।
রহমান সাহেব এতক্ষণ আমার কথাগুলো মনোযোগ দিয়ে শুনছিলেন। এবার তার কৌতূহল তাইতো হয়েছে। ঔষধ দেবার তিন দিনের মাথায়ইতো সাদমান সুস্থ হয়ে গেল। তাহলে সমস্যাটা কোথায়?
: আরে সাহেব, সমস্যাতো সেখানেই। দেহে অবস্থানকারী জীবাণুদের একটি বড় অংশ ধ্বংস হয়ে গেলেই আমরা সুস্থতা অনুভব করি। কিন্তু তার মানে এই নয়, আমরা পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়ে গেলাম। আক্রমণের সাথে সাথে সব জীবাণু এক সাথে মৃত্যুবরণ করবে, এটাকি হতে পারে? তাই সমুদয় জীবাণু নির্মূল করার জন্য একটি নির্দিষ্ট ঘনত্বে (concentration) জীবাণু বিধ্বংসি ঔষধগুলোকে বেশ কিছু দিন রক্তে অবস্থান করতে হয়। এভাবে শেষ জীবাণু টি ধ্বংস হওয়া পর্যন্ত চিকিৎসা চালিয়ে যেতে হয়।
: তা না হলে কি হবে? রহমান সাহেবের প্রশ্ন্।
: আপনিতো নিশ্চই বুঝতে পারছেন জীবাণু ধ্বংস করার জন্য আমরা ঔষধ হিসেবে যা প্রয়োগ করছি তা তাদের জন্য এক ধরনের বিষ (Poison) ছাড়া আর কিছুই নয়। আক্রমণের বিষয়টি বুঝতে পেরে তারা স্বাভাবিক নিয়মেই টিকে থাকার জন্য মরিয়া হয়ে উঠে এবং সে ঔষধের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তোলে। বিষয়টি অনেকটা ভীমরুলের চাকে ঢিল ছোঁড়ার মত। যদি কেউ ভীমরুলের বাসায় আক্রমণ করে সেখানে অবস্থানরত সবগুলো ভীমরুল মেরে ফেলতে সক্ষম না হয় তবে বেঁচে যাওয়া ভীমরুলগুলো হিং¯্র হয়ে আক্রমণকারীর উপর চড়াও হয়। আমরা মানুষ থেকে শুরু করে প্রতিটি জীব, তা সে যত ক্ষুদ্রই হোক সর্বদাই বেঁচে থাকার সংগ্রামে লিপ্ত। তারই অংশ হিসেবে রোগজীবাণুগুলোও চাইবে তাদের চিি হ্নত শত্রুকে প্রতিহত করে টিকে থাকতে। সেজন্য জীবাণুসমূহ তাদের দেহাভ্যন্তরের জৈবিক অবস্থায় পরিবর্তন এনে তাকে সেই শত্রুর বিরুদ্ধে টিকে থাকার উপযোগী করে তোলে। এভাবেই জীবাণুগুলো ঔষধ প্রতিরোধী (drag resistant) হয়ে উঠে। জীবাণু বিরোধী চিকিৎসা চলাকালীন অবস্থায় জীবাণুসমূহ সেই ঔষধের বিরুদ্ধে তাদের অভ্যন্তরীণ অবস্থা পরিবর্তনের দ্রুত ব্যবস্থা নিতে শুরু করে। কিন্তু আমাদের চিকিৎসার উদ্দেশ্য হচ্ছে জীবাণুগুলো কোনো ক্রমেও যেন resistance সৃষ্টি করতে না পারে। আর তাই শেষ জীবাণুটি জীবিত থাকা পর্যন্ত চিকিৎসা চালিয়ে যেতে হয়। যদি কোনো ক্রমে কিছু সংখ্যক জীবাণু টিকে যায় তবে তারা ঐ নির্দিষ্ট ঔষধটির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ব্যবস্থা তৈরি করে সেটাকে অকার্যকর করে ফেলে। তাই পরবর্তিতে সেই নির্দিষ্ট ঔষধটি যতই প্রয়োগ করা হোক না কেন (resistance) হয়ে যাওয়ায় সে ঔষধ জীবাণুগুলোর আর কোনো ক্ষতি করতে পারবে না। তখন তারা সে ঔষধের উপস্থিতিতেই আবার বংশ বৃদ্ধি করতে থাকবে এবং আমাদের জন্য আরো ভয়াবহ রোগ সৃষ্টির কারণ হয়ে দাঁড়াবে, যা আপনার ছেলের ক্ষেত্রে হয়েছে। তাই সব সময় মাথায় রাখবেন, রোগ জীবাণুদের ঔষধ প্রতিরোধী ক্ষমতা (resistance) অর্জনের ঝুঁকি এড়ানোর জন্য যে কোনো জীবাণু বিরোধী ঔষধ (anti-microbial drugs) রোগ নিরাময়ের পরও একটি নির্দিষ্ট মেয়াদ পূর্ণ করে সেবন করতে হয়। চিকিৎসার মাঝপথে ঔষধ বন্ধ করা মানেই অযাচিত বিপদ ডেকে আনা।
: সাংঘাতিক ব্যাপার!
: শুধু তাই নয়, এই resistant জীবাণুগুলো যখন আবার অন্যজনের শরীরে প্রবেশ করে রোগ সৃষ্টি করবে তখন তাকেও সেই ঔষধ দিয়ে চিকিৎসা করলে ফলাফল হবে শূন্য। নির্দিষ্ট সেই ঔষধটি তার বেলাতেও অকার্যকর হয়ে গেল।
: আমরাতো হরহামেশাই না জেনে না বুঝে এধরনের অবস্থা সৃষ্টি করছি!
: অবশ্যই। আপনি যেমন চিকিৎসকের দেয়া পরামর্শকে অগ্রাহ্য করে আপনার ছেলের ক্ষতি করেছেন তেমনি আমাদের দেশের অসংখ্য লোকজন, ঔষধের দোকানী এবং হাতুড়ে চিকিৎসকরা প্রতিদিন বিশাল ক্ষতি করে আসছেন। এখনকার বাস্তবতা কি, আপনারও নিশ্চয়ই অজানা নয়, জ্বর, কাশি, হাঁচিসহ যেকোনো একটি সমস্যা নিয়ে একজন ঔষধের দোকানের স্মরণাপন্ন হলেন। দোকানি তাকে সামান্য মুনাফার লোভে ২/৪ টি জীবাণু বিরোধী (abtimicrobial)ঔষধ ধরিয়ে দিলেন। জীবাণু ঘটিত রোগ হলে এই ২/৪ টি ঔষধ সেবন করে রোগ কখনো সখনো সাময়িক কিছুটা উপশম হলেও এতে সৃষ্টি হচ্ছে দীর্ঘ মেয়াদি ভয়াবহ বিপর্যয়। ক্ষুদ্র স্বার্থে জেনে-নাজেনে আমরা প্রতিদিন সব জীবাণু-বিরোধী ঔষধগুলোকে জীবাণুর বিরুদ্ধে অকার্যকর করে ফেলছি। লক্ষ্য করে দেখবেন এখন থেকে দশ বছর আগে যে ঔষধগুলো ছিল জীবাণুর বিরুদ্ধে অব্যর্থ আজ তার বেশির ভাগই সম্পূর্ণ অকার্যকর। কোনো কোনো ঔষধতো বাজার থেকেই উঠিয়ে নেয়া হয়েছে। তাছাড়া জীবাণু বিরোধী নতুন ঔষধ উদ্ভাবনও এখন প্রায় থেমে গেছে। রোগ জীবাণু যে হারে antimicrobial resistantহচ্ছে এভাবে চলতে থাকলে চিকিৎসা ক্ষেত্রে একটি ভয়াবহ বিপর্যয় অত্যাসন্ন।
কল্পণা করুনতো এখন থেকে ৫০/৬০ বছর আগের কথা, যখন কলেরা কিংবা সাধারণ পেটের পিড়ায় মানুষ মরে গ্রামের পর গ্রাম উজাড় হয়ে যেত। জীবাণু বিরোধী ঔষধ উদ্ভাবনের পর শুনেছেন কি গত ৩০/৩৫ বছরের মাঝে তেমন কোনো খবর? কিংবা চিন্তা করুনতো বর্তমান সময়ে শর্দি, কাশি অথবা শরীরের কোথাও কোনো ঘা বা ক্ষত হলে আমরা তেমন কিছু মনেই করি না। প্রয়োজনে অল্প কিছু ঔষধ সেবনেই ভালো হয়ে যাওয়া সম্ভব। কিন্তু সে ঔষধ যদি অকার্যকর হয় এবং জীবাণুগুলো যদি অদম্য হয়ে যায় তবে যে অবস্থার সৃষ্টি হবে তাতে এখনকার সেই সাধারণ অসুখেই অনেক মানুষ মারা যেতে থাকবে। শুধু তাই নয়, তেমন পরিস্থিতিতে কার্যকর জীবাণু বিরোধী ঔষধের অভাবে অপারেশন চিকিৎসাও (surgical treatment)স্থবির হয়ে পড়বে। অতি সম্প্রতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বিষয়টি নিয়ে বেশ উদ্বেগ প্রকাশ করেছে, সম্ভবত আমরা আবার জীবাণু বিরোধী ঔষধ পূর্ববর্তী অবস্থায় ফিরে যাচ্ছি। এবং তার জন্য সম্পূর্ণ দায়ী নিজেরাই।
: তাহলে আমার ছেলের কি হবে ভাই। রহমান সাহেবের মুখে চাপা আর্তনাদ।
: আপাতত আপনার ছেলের কিছুই হয়তো হবে না। আবার নতুনভাবে মূল্যায়ন করে রোগটির সুষ্ঠু চিকিৎসা দিলে সে হয়তো শংকা মুক্ত হয়ে যাবে, তবে সেজন্য আপনাকে আরো বেশি মূল্য দিতে হতে পারে।
: মানে?
: মানে আর কি। দেরি না করে দ্রুত চিকিৎসা প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে। সেজন্য প্রথমেই করণীয় হচ্ছে তার রোগ সৃষ্টিকারী জীবাণুটি সনাক্ত করে এখন পর্যন্ত তার জন্য কার্যকর ঔষধটি চিহ্নিত করা। তারপর মাত্রা অনুযায়ী নির্ধারিত মেয়াদে চিকিৎসা চালিয়ে গেলে আশা করা যায় সাদমান সুস্থ হয়ে উঠবে। এক্ষেত্রে আপনার চিকিৎসা ব্যয় কয়েক গুণ বেড়ে যাবার সম্ভাবনা রয়েছে। তাছাড়া নির্ধারিত সেসব ঔষধ প্রয়োগ ওর শারীরিক কষ্টেরও কারণ হতে পারে।
: যা-ই হোক, আগে আমার ছেলেকে ভালো করার ব্যবস্থা করেন ভাই। বুঝতে পেরেছি আমি ক্ষমার অযোগ্য ভুল করে ফেলেছি। এখন আপনি যা বলবেন সেভাবেই কাজ করে যাব। আর ঔষধ রেজিস্টেন্সের (drug resistance)ভয়াবহতার বিষয়ে সবাইকে সচেতন করার পাশাপাশি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া দরকার। তার জন্য রাষ্ট্রীয় উদ্যোগ অত্যন্ত জরুরি।
: অবশ্যই, এবং তা এখনই। তাহলে শুরু হোক সেটা আপনাকে দিয়েই।
: ধন্যবাদ আপনাকে।
: বুঝতে পারার জন্য আপনাকেও অনেক অনেক ধন্যবাদ।
অন্যান্য বাংলাদেশ বিজ্ঞান প্রযুক্তি