২৮ বছর পর বিশ্বজয়ের স্বপ্ন নিয়ে ব্রাজিলে পা রাখেন মেসিরা। চলেও গিয়েছিলেন স্বপ্নের শেষ সিঁড়িতে। কিন্তু তীরে এসে তরী ডুবালেন মেসি-হিগুয়াইনরা। তারপরও দেশে ফিরে উষ্ণ অভ্যর্থনাই পেলেন মেসি-ডি মারিয়ারা।
সোমবার যখন মেসিদের বহন করা বিমান বুয়েন্স আয়ার্সের বিমানবন্দরে নামলো তখন হাজার হাজার সমর্থক মেসিদের অভিনন্দন জানাতে উপস্থিত হন। এ সময় মেসিদের বহন করা বিমানে নীল ও সাদা রঙে ‘ধন্যবাদ আর্জেন্টিনা’ খোদাই করা ছিলো।
দেশটির প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিনা কির্চনার আর্জেন্টিনা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের (এএফসি) কার্যালয়ে খেলোয়াড়দের অভিনন্দন জানাতে উপস্থিত হন। আলেসান্দ্রো সাবেলার নেতৃত্বে যখন মেসিরা নামেন তখন প্রেসিডেন্ট স্বয়ং মেসিদের অভিনন্দন জানান।
হাজার হাজার আর্জেন্টিনা সমর্থক হাতে পতাকা, ঢোল, বাদ্য-বাজনা ও শ্লোগানে মুখরিত করে তোলে গোটা এলাকা। স্বপ্নভঙ্গের বেদনাকে চাপা দিয়ে তারা দলকে বীরের সংবর্ধনা দেন।
দলের কোচ সাবেলা বলেন, “আমরা আমাদের সামর্থ্যের সবটুকু ঢেলে দিয়েছি। কিন্তু, ভাগ্য আমাদের সহায় ছিলো না।”
দলের মধ্যমাঠের তারকা মাসচেরানো বলেন, “সমর্থকদের ভালোবাসায় আমরা অভিভূত। এটা ভাষায় প্রকাশ করার মতো না।”
এ সময় মেসিকে অনেকটা মলিন দেখা যায়। উপস্থিত সমর্থকদের উদ্দেশে লিওনেল মেসি বলেন, “আমাদের স্বাগত জানানোর জন্য আপনাদের সবাইকে ধন্যবাদ। দেশে বিশ্বকাপ শিরোপা নিয়ে আসতে পারলে খুবই ভালো লাগতো। সেটা নিয়ে আপনাদের সঙ্গে উপভোগ করতে পারতাম। নিজেদের সবকিছু উজাড় করে দিয়েছিলাম। তবে শেষ পর্যন্ত আমরা পারিনি।”
মাতিয়াজ রুইজ নামক ১৭ বছর বয়সী এক সমর্থক বলেন, “আমরা এখানে তাদেরকে স্বাগত জানাতে এসেছি কারণ তারা আমাদের জন্য সামর্থ্যের সবটুকুই উজাড় করে দিয়েছে। তারা এই সম্মান পাওয়ার যোগ্য।”
২৭ বছর বয়সী লিওনার্দো পেরেজ বলেন, “আমরা চ্যাম্পিয়ন হতে পারিনি। তবে ২৪ বছর পর ফাইনালে যাওয়াটাও কম নয়। আমি আমাদের দল নিয়ে গর্বিত।”
অপর এক সমর্থককে গাইতে দেখা যায়, “আমি আর্জেন্টাইন, এগিয়ে যাও আর্জেন্টিনা। আমাদের ভালোবাসা তোমাদের প্রতি অব্যাহত থাকবে।” -ওয়েবসাইট