বাংলাদেশ ন্যাপ আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তারা বলেছেন, ‘একুশে ফেব্রুয়ারি আমাদের কাছে যেমন গৌরবের। ঠিক তেমনি ২৫ ফেব্রুয়ারি এক কলঙ্কজনক অধ্যায়। তাই জাতিকে কলঙ্কমুক্ত করতে পিলখানা হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।
পিলখানা ট্রাজেডির ৩ বছর পূর্তিকে সামনে রেখে বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘পিলখানা ট্রাজেডি: বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব: দেশপ্রেমিকদের করণীয়: শীর্ষক আলোচনা সভা আয়োজন করে ন্যাপ।
অনুষ্ঠানের বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘বিডিআর ট্রাজেডি আমাদের দেশের এক কলঙ্কজনক অধ্যায়। একুশ যেমন আমাদের গৌরবান্বিত করে, ঠিক তেমনি ২৫ ফেব্রুয়ারি আমাদের লজ্জিত করে। এই লজ্জা থেকে জাতিকে মুক্তি দিতে পিলখানা ট্রাজেডির সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।
২৫ ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় জাতীয় শোক দিবস পালনের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এটি আজ সমগ্র জাতির আকাঙ্ক্ষা। এ দাবি আদায়ে সকল দেশপ্রেমী শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।’
বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহম্মদ ইব্রাহীম ২৫ ফেব্রুয়ারি জাতীয় শোক দিবস ঘোষণার দাবি জানিয়ে বলেন, ‘সীমান্ত রক্ষাকারী একটি ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠান বিডিআরকে ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে পরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবেই। মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত লাল-সবুজের পতাকা আজ বিলীন করার চক্রান্ত চলছে। এই চক্রান্তের অংশ হিসেবেই পিলখানার বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছিল।’
জাগপার সভাপতি শফিউল আলম প্রধান বলেন, ‘হিন্দুস্থানের তাবেদার সরকার বাংলাদেশের সীমান্ত মুছে ফেলে প্রভুদের এজেন্ডা বাস্তবায়নের অংশ হিসেবেই পিলখানা ট্রাজেডি ঘটিয়েছে। পিলখানার বধ্যভূমিতে দেশপ্রেমিক সেনা সদস্যদের লাশের ছবি দেখলেই বোঝা য়ায় বাংলাদেশের মানচিত্র কতটা হুমকির মুখে।’
তিনি বলে, ‘১৭৫৭ সালে পলাশীতে যে ট্রাজেডি ঘটেছিল ২০০৯ সালে পিলখানায়ও একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটেছে। বিডিআর ট্রাজেডির নেপথ্য নায়কদের বাদ দিয়ে যে বিচার তা বিচারের নামে প্রহসন। বিডিআরের পোশাক, নাম দেশপ্রেমিক সরকার এলে আবারো প্রতিষ্ঠিত হবে।’
বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গণির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সাংবাদিক আলাউদ্দিন আরিফ।
আলোচনায় আরো অংশ নেন এলডিপি ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রেদোয়ান আহমেদ, এনপিপি চেয়ারম্যান শেখ শওকত হোসেন নিলু, এনডিপি চেয়ারম্যান খোন্দকার গোলাম মোর্ত্তজা, বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম গোলাম মোস্তফা ভূঁইয়া, দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য সুব্রত বারুরী, যুগ্ম-মহাসচিব স্বপন কুমার সাহা, দফতর সম্পাদক মো. নুরুল আমান চৌধুরী টিটো, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. কামাল ভূঁইয়া, নগর সাধারণ সম্পাদক মো. শহীদুন্নবী ডাবলু, বাংলাদেশ জাতীয় ছাত্রদল আহ্বায়ক এমএন শাওন সাদেকী, বাংলাদেশ মহিলা ন্যাপ সমন্বয়কারী মতিয়ারা চৌধুরী মিনু, নগর যুগ্ম-সম্পাদক কামরুজ্জামান শামিম, সম্পাদক আমিনা খাতুন মনি প্রমুখ।