জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল বিশ্বকাপ ফাইনাল দেখতে ব্রাজিল যাচ্ছেন৷ চতুর্থবার বিশ্বকাপ প্রত্যাশী জার্মানি মঙ্গলবার রাতে ৭-১ গোলে হারায় ব্রাজিলকে৷ এরপর রোববার রাতের ফাইনাল দেখতে যাওয়ার ঘোষণা দেন ম্যার্কেল৷
শুধু ম্যার্কেল নন, জার্মান প্রেসিডেন্ট ইওয়াখিম গাউকও যাচ্ছেন রিও ডি জানিরোতে৷ বুধবার তার অফিস নিশ্চিত করেছে এই তথ্য৷
বলা বাহুল্য, জার্মানির চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলের ফুটবল খেলা দেখতে যাওয়া এটাই প্রথম নয়৷ তাকে বরং বিবেচনা করা হয় জাতীয় দলের এক নম্বর ভক্ত হিসেবে৷ জার্মান দলের খেলা দেখতে তিনি মাঝেমধ্যেই উড়ে যান বিভিন্ন দেশে৷ এমনকি ড্রেসিং রুমে গিয়ে দলের খেলোয়াড়দের উৎসাহও যোগান তিনি৷ চলতি বিশ্বকাপে পর্তুগালের বিপক্ষে জার্মানির খেলার সময় গ্যালারিতে ছিলেন ম্যার্কেল৷ সে ম্যাচে পর্তুগিজদের ৪-০ গোলে হারায় তিনবারের বিশ্বকাপ জয়ীরা৷
এদিকে, মঙ্গলবার রাতে খেলার মাঠে এবং বাইরে রেকর্ডের পাহাড় গড়েছে জার্মান জাতীয় দল৷ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে সবচেয়ে বেশি গোলে জয়ের রেকর্ড, বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি গোল করার ক্লোজের রেকর্ডের পাশাপাশি টোনি ক্রোস রেকর্ড গড়েছেন টুইটারে৷ তার করা প্রথম গোলটির পর এক মিনিটে টুইটারে পোস্টের সংখ্যা ছিল ৪৯৭,৪২৫! আর ক্রোস তার দ্বিতীয় গোল করার পর টুইটের সংখ্যা ছিল ৫০৮,৬০১৷
সাকুল্যে ব্রাজিল এবং জার্মানির মধ্যকার খেলা নিয়ে টুইটের সংখ্যা ৩৫ দশমিক ৬ মিলিয়ন৷ এর আগে কোনো একক ম্যাচ নিয়ে এত টুইটের ঘটনা ঘটেনি৷ ফলে টুইটারেও নতুন রেকর্ড গড়ল জার্মানি-ব্রাজিল ম্যাচটি৷ সাইটটিতে যার নাম সবচেয়ে বেশি এসেছে, তিনি হচ্ছেন ম্যুলার৷ আর তার পরেই রয়েছেন ক্রোস এবং ক্লোজে৷
পিছিয়ে নেই ফেসবুকও৷ বিশ্বের সবচেয়ে বড় এই সামাজিক যোগাযোগ সাইটটির জার্মান অফিস জানিয়েছে, ‘‘বিশ্বকাপের অন্যান্য যে-কোনো খেলার চেয়ে মঙ্গলবার রাতের খেলা নিয়ে ‘ইন্টাব়্যাকশন’ ছিল সবচেয়ে বেশি৷”
জার্মান জাতীয় দলের পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগ সাইটগুলোও এখন রবিবারের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে৷ বিশ্বকাপ ফাইনাল হয়ত ফেসবুক ইন্টাব়্যাকশন কিংবা টুইটের রেকর্ড ভেঙে দিতে পারে৷ তবে বিষয়টি অনেকটাই নির্ভর করছে খেলার উপর৷ সেমিফাইনালের মতো ফাইনালেও যদি জার্মানি এমন বিধ্বংসী মুডে চলে যায় তাহলে নতুন আরো রেকর্ড তৈরি হবে বৈ কি!- ডিডব্লিউ।