চট্টগ্রামে বিএনপির দু’গ্রুপের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া

চট্টগ্রামে বিএনপির দু’গ্রুপের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া

ঢাকা চলো কর্মসূচি সফল করার লক্ষ্যে বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির কর্মী সভায় দুই গ্রুপের মধ্যে মারামারি ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে কমপক্ষে চার নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন।

এদিন বেলা আড়াইটার দিকে চট্টগ্রাম নগরীর ষোলশহরের উডল্যান্ড কমিউনিটি সেন্টারে এ ঘটনা ঘটে।

সভায় আগত দলীয় নেতা কর্মীরা জানান, ১২ মার্চের ঢাকা চলো কর্মসূচি সফল করতে দক্ষিণ জেলা বিএনপির কর্মী সভা চলাকালে যুবদলের নেতা-কর্মীদের হট্টগোল লেগে যায়।

এ সময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাংসদ এমকে আনোয়ার, সাবেক মেয়র মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন, দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক গাজী শাহজাহান জুয়েল উপস্থিত ছিলেন।

সংঘর্ষের কারণে এদের কেউ বক্তব্য রাখার সুযোগ পাননি।

ঘটনাস্থলে উপস্থিত কয়েকজন কর্মী ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, মাস দেড়েক আগে ত্যাগী নেতাদের বাদ দিয়ে কেন্দ্র থেকে বদরুল খায়েরকে সভাপতি ও শাহজাহানকে সম্পাদক করে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা যুবদলের কমিটি ঘোষণা করা হয়। এরপর থেকে সংগঠনের নেতা কর্মীদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দেয়।এর বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে কর্মী সভায়।

বেলা আড়াইটার দিকে সভার কার্যক্রম শুরু হলে ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক শহীদের কাছ থেকে মাইক কেড়ে নেওয়া হয়।এরপর উভয় পক্ষের নেতা-কর্মীরা কথা কাটাকাটি এবং পরে লাঠি নিয়ে মারামারি শুরু করেন।

পরে বিকেল সোয়া তিনটার দিকে ধাওয়া খেয়ে বদরুল-শাহজাহান গ্রুপ চিটাগাং শপিং কমপ্লেক্সের দিকে চলে যায়। এ সময় ষোলশহর স্টেশন এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। প্রধান সড়কের দোকানপাট বন্ধ করে দেন ব্যবসায়ীরা।

আনোয়ারা ২ নম্বর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, ‘আমি সভাপতি প্রার্থী ছিলাম। কেন্দ্র ঘোষিত কমিটি তৃণমূল নেতা-কর্মীরা প্রত্যাখ্যান করেছেন। তাই প্রকাশ্যে সভাস্থল থেকে তাদের বের করে দেওয়া হয়েছে।’

মেজবাহ উদ্দিন মো. জাহেদ চৌধুরী বলেন, ‘স্থানীয় নেতা কর্মীরা আমি ও মইনুল হোসেন ছোটনকে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক করতে চেয়েছিলেন। তাদের মতামতের তোয়াক্কা না করায় বিক্ষুব্ধ কর্মীরা নতুন কমিটির লোকজনকে সভা থেকে বের করে দিয়েছেন।’

বিকেল পৌনে চারটার দিকে উডল্যান্ডে পুনরায় যুবদলের এক গ্রুপকে বের করে দিয়ে অন্য গ্রুপকে নিয়ে কর্মী সভা শুরু হয়।

এ সময় মঞ্চে ছিলেন পটিয়ার পটিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান ইদ্রিছ মিয়া, বিএনপি নেতা এনামুল হক ও মফজল হোসেন, কর্ণফুলী থানার এহসান এ খান, লোহাগাড়ার আসহাব উদ্দিন, আনোয়ারার ইলিয়াস কাঞ্চন, মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিন প্রমুখ।

ঘটনাস্থলে উপস্থিত পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বলেন, ‘দক্ষিণ জেলা বিএনপির কর্মী সভায় দুই পক্ষের কথা কাটাকাটি হয়। একপক্ষকে বের করে দেওয়া হয়েছে। অপর পক্ষ সভা করেছে।‘

পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে আছে বলে জানান তিনি।

রাজনীতি