বিরোধী দলকে সংসদে এসে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের রূপরেখা তুলে ধরার আহবান জানিয়েছেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম।
বিরোধী দলের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘গণতন্ত্রে বিশ্বাস করলে সংসদে এসে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের রূপরেখা তুলে ধরুন। উত্তম প্রস্তাব হলে মেনে নেবো। সংবিধানের পঞ্চাদশ সংশোধনী অনুযায়ী অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনেই নির্ধারিত সময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।’
বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) ‘পিলখানা হত্যা, সেনা অভ্যুত্থানের সৃষ্টি, শেয়ারবাজার পতন ও সাংবাদিক হত্যা, বিরোধীদলের-ই ষড়যন্ত্র’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
বর্তমানে মিডিয়া অত্যন্ত শক্তিশালী উল্লেখ করে নাসিম বলেন, ‘মিডিয়াকে ফাঁকি দিয়ে কারচুপির নির্বাচন আর সম্ভব নয়’। নির্বাচন কমিশন শক্তিশালী করতে যা যা করা দরকার সবকিছু করা হবে।’
তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে আলোচনার কোনো সুযোগ নেই জানিয়ে নাসিম বলেন, ‘তত্ত্বাবধায়কের ভূত আর আনতে চাই না। তারা দুই বছর গণতন্ত্রকে বন্দি করে রেখেছিল।’
দেশবাসীকে সর্তক করে দিয়ে নাসিম বলেন, ‘রাতের অন্ধকারে সেই লোকেরা ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য আবার মাঠে নেমেছে। তারা রাজনীতিবিদদের খারাপ বলতে শুরু করেছে। সেই তথাকথিত ফেরেস্তাদের শাসন চাই না, জনগণের শাসন চাই।’
আওয়ামী লীগ শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তরে বিশ্বাসী উল্লেখ করে নাসিম আরো বলেন, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নির্বাচিত সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করা হবে।’
সাংবাদিক দম্পত্তি সাগর-রুনি হত্যাকা-ের বিচার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘হত্যাকা-ে যেই জড়িত থাক, শেখ হাসিনার সরকার তদন্তের মাধ্যমে তাদের বের করে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করাবে।’
গ্রামীণ ব্যাংকের অপসারিত চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ ইউনূস প্রসঙ্গে নাসিম বলেন, ‘শেখ হাসিনা তাঁর উদারতা ও বিচক্ষণতার জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধিদের কাছে ড. ইউনূসকে বিশ্বব্যাংকের চেয়ারম্যান করার অনুরোধ করেছেন।’
বঙ্গবন্ধু একাডেমী আয়োজিত এ আলোচনা সভায় ২৩ ফেব্রুয়ারি জাতীয়ভাবে ‘বঙ্গবন্ধু দিবস’ পালনেরও দাবি তোলা হয়।
সংগঠনের মহাসচিব হুমায়ুন কবীর মিজির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোজাফফর হোসেন পল্টু, দলটির ঢাকা মহানগর শাখার জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি ফয়েজ উদ্দিন মিয়া, নারী নেত্রী রুবি হক, বঙ্গবন্ধু জাতীয় যুব পরিষদের সভাপতি চঞ্চল পাটোয়ারি, কাতার বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি মো. মুসা প্রমুখ।
১৯৬৯ সালের এই দিনে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সর্ব দলীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের পক্ষ থেকে বর্তমান আওয়ামী লীগ নেতা তোফায়েল আহমেদ শেখ মুজিবুর রহমানকে ‘বঙ্গবন্ধু’ উপাধীতে ভূষিত করেন।