বেলো হরাইজন্তে : ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি ৷ চিলি কোনো অঘটন ঘটাতে পারল না ৷বিশ্বকাপে ফের শেষ হাসি হাসল ব্রাজিলই ৷ টাইব্রেকারে অ্যালেক্সিস স্যাঞ্চেজদের ৩-২ গোলে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে গেল ব্রাজিল ৷ ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি হল না ঠিকই, তবে এই চিলি হারল অনেক লড়াই করে , লুইস ফেলিপে স্কোলারির দলকে ধাক্কা দেওয়ার পরে ৷ চিলির এই লড়াই বিশ্বকাপের ইতিহাসে নিঃসন্দেহে স্মরণীয় হয়ে থাকবে ৷
এদিন চিলির প্রথম একাদশে ফেরেন ভিদাল ৷ তাতে তাদের কিছুটা শক্তি বাড়ে ৷ প্রথম থেকেই ম্যাচটি আক্রমণ ও প্রতি-আক্রমণে জমজমাট হয় ওঠে ৷ ঘরের মাঠে বিপুল জমসমর্থন পেয়ে নেইমার -হাল্ক-অস্কাররা বাড়তি উদ্যেমে নিজেদের মেলে ধরেন ৷ শুরু থেকেই বাড়তি আক্রমণাত্মক দেখিয়েছে স্কোলারির দলকে ৷ যদিও প্রতি-আক্রমণে পাল্লা দিয়েছে চিলি ৷ ১৮ মিনিটে ডিফেন্ডার ডেভিড লুইস গোল করে এগিয়ে দেন ব্রাজিলকে ৷ যদিও সেই লিড বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারেনি ব্রাজিল৷ স্যাঞ্চেজ, ভিদালরা বারবার চেষ্টা করে যাচ্ছিলেন সমতা ফেরানোর জন্য ৷ গোল খাওয়ার পরে জেগে ওঠে চিলির আক্রমণ ভাগ ৷ ৩২ মিনিটে স্যাঞ্চেজের গোল সমতায় ফেরান চিলিকে ৷
রাজিল –১ (৩) চিলি -১ (২) (ডেভিড লুইস) (স্যাঞ্চেজ)
এরপর অবশ্য ব্রাজিল দাপট দেখিয়েছে ৷ নেইমার পরপর আক্রমণ তৈরি করেন ৷ যদিও চিলির গোলরক্ষক সি ব্রাভো অনবদ্য গোলরক্ষা করার জন্যই গোল করতে পারেননি নেইমার ৷ তবে বিরতির আগে এগিয়ে যাওয়ার সোনার সুযোগ পেয়েছিল চিলি ৷ আরানগুইজ গোল করতে পারেননি ৷ বিরতির সময় ম্যাচের ফল ১-১ ই ছিল ৷ বিরতির পরে হাল্ক একটি দুরন্ত গোল করেন ৷ কিন্তু অভিজ্ঞ রেফারি হ্যান্ডবল করার জন্য এই গোলটি বাতিল করে দিয়েছেন ৷ দ্বিতীয়ার্ধেও আরও একটি গোলের সুযোগ তৈরি করেছিল চিলি ৷ ভিদালের পাস থেকে ইসলা গোলরক্ষকের গায়ে মারেন ৷ ৭৪ মিনিটে পরিবর্ত জো ব্রাজিলকে এগিয়ে দেওয়ার সুযোগ নষ্ট করেন ৷ ৮৩ মিনিটে হাল্কের দুরন্ত শট বাঁচান চিলির গোলরক্ষক ৷
ম্যাচ অতিরিক্ত সময়ে গড়ানোর পরে দুটো দলই কিছুটা রক্ষণাত্মক ফুটবল খেলেছে ৷ অতিরিক্তি সময়ের দ্বিতীয়ার্ধের শেষ লগ্নে পরিবর্ত পেনিলা সুবর্ণ সুযোগ নষ্ট করেন ৷ তিনি যদি বল জালে জড়িয়ে দিতে পারতেন তাহলে এদিনই বিশ্বকাপ থেকে বিদায় হয়ে যেতে পারত ব্রাজিলের ৷কিন্ত পেনিলার নেওয়া দুরন্ত শটটি ক্রস বারের ওপর লেগে ফিরে আসে ৷ এই শটটিই ম্যাচের টারর্নিং পয়েন্ট ৷ ওই গোলটি না হওয়াতে নতুন উদ্যোমে টাইব্রেকার ঝাঁপায় ব্রাজিল ৷ অতিরিক্ত সময়ে ম্যাচের ফল ১-১ ছিল ৷
ম্যাচ টাইব্রেকারে গড়ানোর পরে মনে করা হয়েছিল চিলির গোলরক্ষক ব্রাভো হয়তো ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারণ করবেন ৷ কেন না ম্যাচে বেশ কয়েকটি ভালো সেভ করেছেন তিনি ৷ একা দায়িত্ব নিয়ে দারুণ গোলরক্ষা করে দলের বডি ল্যাঙ্গুয়েজ বদলে দিয়েছেন ৷ কিন্ত এখানে ব্রাভোকে টেক্ক ব্রাজিলের গোলরক্ষক জুলিও সিজার ৷ তিন তিনিট সেভ করে দলকে কোয়ার্টার ফাইনালে তুলে দিলেন তিনি ৷যদিও এই পেনাল্টি মারার ক্ষেত্রে চিলির ফুটবলারদের দায়িত্ব জ্ঞানহীনতার পরিচয় পাওয়া গিয়েছে ৷
ব্রাজিল কোয়ার্টার ফাইনালে যাওয়ার পরে উচ্ছ্বাসে মেতে উঠলেন নেইমাররা ৷ আনন্দে দু’হাত তুলে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করলেন স্কোলারিও ৷ কিন্তু নেইমারদের খেলায় মন ভরল কী ? ম্যাচে দু’তিনটি দারুণ সুযোগ পেয়েছিল চিলি ৷ সেই সুযোগগুলো কাজে লাগাতে পারলে এদিন অবশ্য অনেক দুঃখ লেখা ছিল নেইমারদের ৷ যাই হোক আপাতত স্কোলারি অবশ্য আনন্দে মাতলেন ৷