বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন, “বর্তমান সরকারকে না তাড়াতে পারলে তারা দেশকে বিক্রির অবস্থায় নিয়ে যাবে। তাই ডান আর কে বাম সেটা দেখার সময় এখন নেই। সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।”
শনিবার রাতে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে তার গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে দেখা করে ১৯ দলীয় জোটে বাংলাদেশের সাম্যবাদী দলের (এমএল) একাংশের নেতাদের যোগদান অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। এর মাধ্যমে বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোট এখন ২০ দলীয় জোটে পরিণত হলো।
বিএনপি নেত্রী সাম্যবাদী দলের (এমএল) একাংশের নেতাদের উদ্দেশে বলেন, “আমি অনেক আগে থেকেই সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার কথা বলেছিলাম। আমার আহ্বানে সাড়া দিয়েই হয়তো আপনার ১৯ দলীয় জোটে যোগ দিচ্ছেন। এতে করে ১৯ দলীয় জোট শক্তিশালী হবে এবং আন্দোলন আরো বেগবান হবে।”
তিনি বলেন, “এখনই ঐক্যবদ্ধ হতে না পারলে এই আওয়ামী লীগ সরকার দেশকে এমন এক অবস্থায় নিয়ে যাবে, বিক্রি না করলেও দেশের কিছুই থাকবে না।”
তিনি বলেন, “কে ছোট আর কে বড় সেটা আমরা কখনোই হিসাব করিনি। মানুষের অধিকার আদায়ে আন্দোলন-সংগ্রামে যারা একাত্ম ঘোষণা করেছে তাদেরকেই আমরা গ্রহণ করেছি।”
খালেদা আরো বলেন, “আর আন্ডাগ্রাউন্ড নয়, কোনো গোপন চুক্তিও নয়, জনগণের অধিকার আদায়ের আন্দোলনে সামনে এসে দাঁড়াতে হবে।”
বেগম খালেদা জিয়া বলেন, “আওয়ামী লীগের ভুলনীতির কারণে দেশ আজ সংকটের মুখে। দেশকে গ্রাস করার ষড়যন্ত্র চলছে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে লুটপাট চলবে। তারা যতই তওবা করুক তাতে কাজ হবে না।”
তিনি বলেন, “রমজানের পরে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলনের মাধ্যমে দুর্নীতিবাজ সরকারের পতন ঘটিয়ে নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মধ্যমে নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে। এর জন্য প্রয়োজন দলমত নির্বিশেষে ঐক্যবদ্ধ হওয়া।”
সাম্যবাদী দলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক কমরেড সাঈদ আহমেদ, কেন্দ্রীয় নেতা কমরেড আরিফুল হক সুমন, কমরেড হানিফুল কবির, কমরেড মেজবাহ উদ্দিন মন্টু ও কমরেড কাজী মোস্তফা কামাল প্রমুখ যোগদান অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ছাড়াও ১৯ দলের নেতাদের মধ্যে ছিলেন- খেলাফত মজলিসের চেয়ারম্যান মাওলানা মোহাম্মদ ইছাহাক, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মোহাম্মদ ইব্রাহিম, জামায়াত ইসলামীর কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা আব্দুল হালিম, এনপিপি এর চেয়ারম্যান শেখ শওকত হোসেন নীলু, এনডিপি এর চেয়ারম্যান খন্দকার গোলাম মোর্তজা, বাংলাদেশ ন্যাপ এর চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি, বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, বাংলাদেশ ডেমোক্রেটিক লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুদ্দিন মনি, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি-জাগপার সাধারণ সম্পাদক খন্দকার লুৎফর রহমান প্রমুখ।