এই মুহূর্তে বাংলাদেশে সংলাপ ও নির্বাচনের কোনো প্রয়োজন নেই বলে মনে করেন ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম।
তিনি বলেছেন, মানুষ অত্যন্ত স্বস্তিতে, শান্তিতে আছে। আমরা কোনো সঙ্কট দেখছি না। দেশে কোনো রাজনৈতিক সঙ্কট নেই। কেবল বিএনপি ও তাদের বিদেশী বন্ধুদের মুখে এবং টিভি টকশোর মাধ্যমেই সঙ্কট দেখি। এই মুহূর্তে কোনো দলের সাথে আলোচনার সুযোগ নেই, সম্ভাবনা নেই এবং প্রয়োজন আছে বলে মনে করি না।
আজ শনিবার দুপুরে রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমির হলরুমে আওয়ামী লীগের ৬৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি একথা বলেন।
কামরুল ইসলাম বলেন, জনগণের সাথে আমরা সংলাপ চালিয়ে যাচ্ছি। আগামীতে যাতে আমাদের ভোটের সমস্যা না হয় সেজন্য পাঁচ বছর জনগণের সাথে এমনভাবে আলোচনা চালিয়ে যাবো। তবে এই মুহূর্তে কোনো দলের সাথে, কোনো গোষ্ঠির সাথে সংলাপ হবে না।
বুদ্ধিজীবীদের সমালোচনা করে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের অনেক বুদ্ধিজীবী আছেন, যারা মাঝপথে চলেন। সৎ কথা বলেন না। সৎ কথা বলতে সাহস পান না, এরা জ্ঞানপাপী।
বিএনপিকে উদ্দেশ করে কামরুল বলেন, বিএনপি জনগণের কাছে যায় না, তারা বার বার বিদেশী বন্ধুদের কাছে ধর্না দিচ্ছে। সংলাপের কথা বলছে, নির্বাচনের কথা বলছে। আমরা গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে ৫ জানুয়ারি নির্বাচন করেছি। ২০১৩ সালের শেষের দিকে সন্ত্রাস-নৈরাজ্য করে ভয়াবহ অবস্থা সৃষ্টি করেছিল। সেই সন্ত্রাস মোকাবেলা করেই শেখ হাসিনা নির্বাচন করেছেন।
তিনি আরো বলেন, একটি চক্র আমাদেরকে বিদেশী বন্ধুদের কাছ থেকে নিশ্চিহ্ন করতে চেয়েছিল, কিন্তু পারেনি। বিদেশী বন্ধুরা এখন আমাদের প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন, সহায়তা করছেন। প্রধানমন্ত্রী চীন ও জাপান সফর করেছেন। ভারতের সাথেও সর্ম্পক আরো ভালো হবে। কাজেই তাদের উৎফুল্ল হওয়ার কিছুই নেই।
আয়োজক সংগঠনের সহ-সভাপতি অভিনেতা এটিএম শামসুজ্জামানের সভাপতিত্বে সভায় আরো বক্তব্য দেন, অগ্রণী ব্যাংকের পরিচালক অ্যাডভোকেট বলরাম পোদ্দার, মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, সংগঠনের সহ-সভাপতি মোবারক আলী শিকদার প্রমুখ।