মুসলিম পরিচয়ে বিয়ের পর নববধূকে সিঁদুর পরতে বললেন তার স্বামী। কিন্তু নববধূ এতে অনাগ্রহ দেখান। এরপর এসিড় মেরে ২০ বছর বয়সি ওই তরুণীর মুখ ঝলসে দেয়া হয়। শনিবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জের বন্দর থানার আনন্দনগর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এসিডে দগ্ধ হওয়া শশী আক্তার (২০) নামের ওই তরুণীকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত স্বামী প্রদীপ ওরফে মামুন পলাতক। শশী তার পরিবারের সঙ্গে নারায়গঞ্জের বন্দর থানাধীন আনন্দনগর এলাকায় বসবাস করতেন। তার পিতার নাম কবীর হোসেন।
শশীর মা মেহেরুন বেগম জানান, হিন্দু যুবক প্রদীপ নিজে সদ্য মুসলমান হয়েছেন এবং তার নাম মামুন এ কারণে নরসিংদীতে থাকা তার মা-বাবা তাকে ত্যাগ করেছে বলে সে শশীকে বিয়ে করতে চায়। মানবিক কারণে তার এই প্রস্তাবে রাজি হয়ে গত ১৫ দিন আগে শশীকে তার সঙ্গে বিয়ে দেয়া হয়। শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বাইরে থেকে বেড়ানো শেষে তারা দু’জন নারায়গঞ্জের বন্দর থানাধীন আনন্দনগর এলাকায় নিজ বাসায় ফিরছিলেন। পথিমধ্যে রিকশায় শশীকে হাতে শাখা ও কপালে সিঁদুর পরতে বলেন মামুন। শশী তখন তাকে বলেন- আপনিতো মুসলমান হয়ে আমাকে বিয়ে করেছেন। আমি মুসলমান মেয়ে হয়ে কেনো শাখা-সিঁদুর পরবো? এ কথা শোনার পর প্রদীপ শশীর মুখে এসিড ছুঁড়ে পালিয়ে যায়। পরে আশপাশের লোকজন তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করায়।
শশীর দুলাভাই ওমর ফারুক জানান, নিজে হিন্দু হয়েও প্রতারণার মাধ্যমে প্রদীপ শশীকে বিয়ে করেছেন এবং তার কথা না শোনায় শশীর মুখে এসিড ছুঁড়েছেন। তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও তিনি জানান।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আখতার মোরশেদ বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। ওই প্রতারক পালিয়ে গেছে। তাকে গ্রেফতারের অভিযান অব্যাহত রেখেছে পুলিশ।