নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ গ্যাস ক্ষেত্র একটি কূপের দ্বিতীয় স্তরেও গ্যাসের সন্ধান পেয়েছে রাষ্ট্রীয় তেল গ্যাস অনুসন্ধান ও উত্তোলনকারী সংস্থা- বাপেক্স। এখান থেকে দৈনিক ১০ থেকে ১২ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করা যাবে। এই ক্ষেত্র থেকে ৫০ বিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস পাওয়ারও আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।আজ শনিবার এ গ্যাসক্ষেত্র থেকে পরীক্ষামূলকভাবে গ্যাস উত্তোলন শুরু করা হয়েছে।
গত ১৪ জুন ঢাকার অদূরে রাজউকের পূর্বাচল নতুন শহর এলাকায় গ্যাসত্রেটির সন্ধান পায় বাপেক্স। রুপগঞ্জ উপজেলার দাউদপুর ইউনিয়নের কামতা এলাকার কূপের ৩৬০০ মিটার গভীরে গ্যাসের সন্ধান পাওয়া যায়। আজ একই কূপের ৩৩২৬ মিটার গভীরেও গ্যাস পাওয়া গেছে। গ্যাস অনুসন্ধানের জন্য ২০১০ সালে দ্বিমাত্রিক ভূকম্পন জরিপ চালায় বাপেক্স। ওই জরিপেই রূপগঞ্জের গ্যাসক্ষেত্রের সন্ধান পাওয়া যায়।
আজ নতুন গ্যাসত্রে পরিদর্শন করেন রাষ্ট্রীয় তেল-গ্যাস অনুসন্ধান ও উত্তোলন কোম্পানি বাপেক্স এমডি এম এ বাকী ও বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু। তারা পরীক্ষামূলক গ্যাস উত্তোলনের উদ্বোধন করেন।
বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানি লিমিটেডের (বাপেক্স) ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ বাকী বলেন, আমরা দ্বিতীয় স্তরে গ্যাস পেয়েছি। কূপটিতে গ্যাস উত্তোলনের চাপ রয়েছে ২২০০ পিএসআই (পাউন্ড পার ইঞ্চি)। ৫০ বিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের মজুদ রয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি আমরা। এখান থেকে দৈনিক ১০ থেকে ১২ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করা যাবে। পাইপলাইন নির্মাণ সাপেক্ষে ২ মাস পর থেকে গ্যাস সরবরাহ করা যাবে। রূপগঞ্জের নতুন এ গ্যাসক্ষেত্রটি নিয়ে বাংলাদেশে মোট গ্যাস ক্ষেত্রের সংখ্যা দাঁড়ালো ২৬টি।
পেট্রোবাংলা বাপেক্স সূত্র জানায়, দেশের বর্তমান ২৫টি গ্যাস ত্রে থেকে প্রতিদিন গড়ে প্রায় ২৩০ কোটি ঘনফুট গ্যাস উত্তোলন করা হচ্ছে। তারপরও বর্তমানের গ্রাহকদের মধ্যেই ৫০ লাখ ঘনফুট গ্যাসের ঘাটতি থেকে যাচ্ছে। বাংলাদেশ থেকে এখন পর্যন্ত ১১ দশমিক ৭২ ট্রিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলন করা হয়েছে। এখনো ১৫ দশমিক ৩২ ট্রিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের প্রমাণিত মজুদ রয়েছে।