গুগল-এর একটি ইন্টারনাল সিস্টেম আছে যা দিয়ে গুগল সার্চ ইঞ্জিনে ও অন্যান্য ওয়েবসাইটে ( যারা গুগলকে অধিকার দিয়েছে) অ্যাড চালায়। এই অ্যাডগুলো সাধারণত সার্চ ইঞ্জিনে একদম উপরে ও পাশে আসে ও একটু হলুদ বা গোলাপি রঙের হয়।
গুগল অ্যাড-সংক্ষেপে বিস্তারিত বর্ণনা
গুগল অ্যাড সিস্টেমটির নাম এডওয়ার্ডস(Adwards)স এর ঠিকানা হচ্ছে Adwards.google.com। এখানে ঢুকে যারা Ad দেখাতে চান তারা sign up করতে পারেন। তারপর তাদের সেখানে billing details-এ তাদের ক্রেডিট কার্ড, ডেবিট কার্ডের details দিলে অ্যাকাউন্ট অ্যাক্টিভেট হয়ে যায়। এবার শুধু সেখানে চালাতে হবে অ্যাড। অ্যাড চালাতে গেলে যেগুলো মাথা রাখতে হবে সেগুলো হচ্ছে:
– আপনি ঠিক করবেন কী সার্চ করলে আপনার অ্যাড দেখানো হবে, একে বলে কি-ওয়র্ডস (keywards)
– আপনি ঠিক করবেন কোন জায়গাতে আপনি অ্যাড দেখতে চান, একে বলে লোকেশন টার্গেটিং (Location Targeting)
– আপনি ঠিক করবেন যে আপনার অ্যাডটি কি রকম দেখতে হবে এবং অ্যাডটিকে ক্লিক করলে আপনি সর্বোচ্চ ( highest) কত খরচ করবেন।
– আরও অনেক অপশন থাকে কিন্তু সেইগুলো এখন বলা বাঞ্ছনীয় নয়, কারণ তাতে মাথা হ্যাং হবার ভয় বর্তমান।
এই অপশনগুলো সব ঠিকঠাক করে চালালেই হয়ে গেল, আপনার অ্যাড চলা শুরু এবং আপনার ব্যাবসাও নতুন এক মাত্রা পেয়ে গেল। আপনি গুগল অ্যাডওয়ার্ডস এ দেখতেও পারেন যে ওয়েবসাইটে কজন লোক আসছে, আপনার কত খরচা হচ্ছে, আপনার আদৌ কোনো লাভ হচ্ছে কিনা ইত্যাদি ইত্যাদি।
গুগল অ্যাড- না জানা কিছু তথ্য
গুগল-এর যা রেভিনিউ থাকে, তা সারা বছরে তার প্রায় ৯৭ শতাংশ অ্যাডওয়ার্ডস থেকে আসে।
যেকোনো ব্যবসায়ী গুগলে অ্যাড চালালে প্রতি এর জন্য ফেরত পান।
২০১১ সালের বসন্তকালের তথ্য অনুযায়ী প্রায় ১.২ মিলিয়ন সংস্থা গুগলের সার্চে অ্যাড চালাচ্ছে।
২০১১ সালে গুগল অ্যাডভার্টাইজিং টুলস বিলিয়ন ডলার কামিয়েছে।
যদি ডান দিকের অ্যাডগুলো না থাকে তাহলে শতকরা ৪৫.৫ শতাংশ লোক গুগল অ্যাড-এর অস্তিত্ব-ই জানে না।