যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম সেরা গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই (ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন)’র সঙ্গে যৌথ প্রশিক্ষণে অংশ নিয়েছে বাংলাদেশ পুলিশ।
ঢাকার মিরপুরে পুলিশ স্টাফ কলেজে পাঁচদিনের এ প্রশিক্ষণ বৃহস্পতিবার শেষ হয়েছে।
ঢাকার যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস থেকে বৃহস্পতিবার এ তথ্য জানানো হয়।
এফবিআইয়ের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশের পুলিশ স্টাফ কলেজ যৌথভাবে এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচির আয়োজন করে।
যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস এ সম্পর্কে জানায়, অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে আইনি ও অভিজ্ঞতা বিনিময়মূলক এই প্রশিক্ষণে অপরাধস্থল ব্যবস্থাপনা ও প্রমাণ সংরক্ষণের কৌশলগুলোর ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ, গোয়েন্দা বিভাগ ও অপরাধ অনুসন্ধান শাখা এবং স্পেশাল ব্রাঞ্চের ৪১ জন বাংলাদেশি কর্মকর্তা এ প্রশিক্ষণে অংশ নেন।
‘এফবিআই’-এর ছয়জন সদস্য এবং যুক্তরাষ্ট্র প্রতিরক্ষা দফতরের একজন বিশেষজ্ঞ বাংলাদেশে এসে অংশগ্রহণকারীদের সঙ্গে বিভিন্ন ধরনের অপরাধ সংঘটনস্থলের ক্ষেত্রে সফল চর্চাগুলো নিয়ে আলোচনা করেন।
আলোচিত বিষয়গুলোর মধ্যে ছিলো অপরাধস্থল পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনা, দেহের তরল পদার্থ ও রক্ত আহরণের প্রক্রিয়া, অপরাধস্থলের আলোকচিত্র গ্রহণ, ডিএনএ প্রমাণ আহরণ, চুল ও অন্যান্য আঁশ জাতীয় বস্তু আহরণ, সুপ্ত আঙ্গুলের ছাপ আহরণ এবং মানবদেহের ধবংসাবশেষ পুনরুদ্ধার।
প্রশিক্ষণ শেষের অনুষ্ঠানে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত ড্যান মজিনা বলেন, ‘আন্তরাষ্ট্রীয় অপরাধ ও এগুলোর সঙ্গে যারা জড়িত তারা কোনো সীমানা মানে না। এ ধরনের হুমকি মোকাবেলা করতে যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশ নিজ সামর্থ্যগুলো আরো সমৃদ্ধ করতে একসঙ্গে অংশীদারিত্বে কাজ করতে পারার একটি নিদর্শন হলো এই বিনিময়মূলক প্রশিক্ষণ।’
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে নিযুক্ত এফবিআইয়ের ভারপ্রাপ্ত অ্যাটাশে নাথান সারফেস বলেন, আন্তঃদেশীয় অপরাধের বিবর্তনের ধারায় অপরাধীদের সফলভাবে বিচারের আওতায় আনতে বিভিন্ন রকমের অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি, বিশেষায়িত পরীক্ষা নিরীক্ষা ও বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির প্রয়োজন। অপরাধবিষয়ক চিকিৎসাবিদ্যার মাধ্যমে প্রাপ্ত প্রমাণ অনেক প্রভাব ফেলে- যার ফলে বিভিন্ন ব্যক্তি সন্দেহের আওতা থেকে বাদ পড়ে এবং প্রকৃত দায়ীদের বিচারের আওতায় আনা যায়।’