তীব্র গরম আর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে প্রতিদিন ৮-১০ ঘণ্টা লোডশেডিয়ে অতিষ্ঠ পাবনার বেড়া উপজেলার জনজীবন।
এদিকে শুরু হয়েছে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রথম সাময়িক পরীক্ষা। আর এনিয়ে অভিভাবক মহলে জমছে তীব্র ক্ষোভ। সন্ধ্যার পর থেকে প্রতিদিন দুই থেকে তিনঘণ্টা লোডশেডিং হচ্ছে। অথচ এ সময়টাই ছাত্র-ছাত্রীদের লেখাপড়া করার উপযুক্ত সময়।
এ ব্যাপারে নাকালিয়া এস এম উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শওকত ওসমান বলেন, ‘পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে বিদ্যুৎ না থাকলে ছাত্রছাত্রীদের ভোগান্তির সীমা থাকবে না। অন্তত এসময়টুকু কর্তৃপক্ষের উচিত হবে বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করা।’
অথচ ২০১০ সালের আগস্ট মাসে ৭০ মেগাওয়াট পিকিং বিদ্যুৎ কেন্দ্র বেড়ায় নির্মাণকাজ শুরু হয়। ৫৪২ কোটি টাকা ব্যয়ে বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির নির্মাণকাজ শেষ হয়। ২০১১ সালের ৮ই অক্টোবর। গত বছরের ২ ফেব্রুয়ারি মাসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এর উদ্বোধন করেন। নিজ উপজেলায় বিদ্যুতকেন্দ্র হওয়ায় সবাই ভেবেছিল দুর্ভোগ কিছুটা হলেও কমবে। কিন্তু তাদের সে স্বপ্ন শুধু স্বপ্নই থেকে গেছে। বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হয়ে তা জাতীয় গ্রিডে যোগ হলেও কমেনি বেড়াবাসীর দুর্ভোগ। বরং বিগত বছরগুলোর চেয়ে এবছর লোডশেডিং তুলনামূলক বেড়েছে বলে মনে করছেন অনেকে।
পাবনা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, এর আওতাভুক্ত বেড়া, সাথিয়া, সুজানগর ও পাবনা সদর (আংশিক) উপজেলায় প্রতিদিন গড়ে ৪০ থেকে ৪২ মেগাওয়াট বিদ্যুতের প্রয়োজন। কিন্তু পাওয়া যায় ২০ মেগাওয়াটের কাছাকাছি। এই অর্ধেক পরিমাণ প্রাপ্ত বিদ্যুৎ দিয়ে চাহিদা পূরণে হিমশিম খাচ্ছেন কর্তৃপক্ষ।