বেনগাজি হামলার সন্দেহভাজন মূল নায়ক আকমেদ আবু খাত্তালাকে আটক করেছে যুক্তরাষ্ট্র। গত ১৫ জুন লিবিয়ায় এক গোপন অভিযান চালিয়ে মার্কিন সেনাবাহিনী তাকে আটক করে বলে মঙ্গলবার পেন্টাগন জানিয়েছে। এ ঘটনায় মার্কিন সেনাবাহিনীর ভূমিকার ব্যাপক প্রশংসা করেছেন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা।
প্রসঙ্গত, ২০১২ সালের ১১ সেপ্টেম্বর লিবিয়ার অন্যতম শহর বেহগাজির মার্কিন দূতাবাসে ওই সন্ত্রাসী হামলা চালানো হয়েছিল। হামলায় লিবিয়ার মার্কিন রাষ্ট্রদূত ক্রিস স্টিভেন্সসহ চার আমেরিকান নিহত হয়েছিলেন। এ হামলার ঘটনায় তৎকালীন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন।
মঙ্গলবার পেন্টাগনের প্রেস সেক্রেটারি রিয়ার এডমিরাল জন কিরবে এক লিখিত বিবৃতিতে জানান, ‘কোন রকম বেসামরিক ক্ষয়ক্ষতি ছাড়াই তাকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়েছে এবং অভিযান শেষে সকল মার্কিন সেনা নিরাপদে লিবিয়া ছেড়েছে।’ এই সেনা অভিযান সম্পর্কে বিস্তারিত উল্লেখ না করে তিনি কেবল বলেন, রোববার বিকেলে বেনগাজি শহরের কাছে ওই ঝটিকা অভিযান চালানো হয়েছিল।
তিনি আরো বলেন, আবু খাত্তালাকে বর্তমানে লিবিয়ার বাইরে এক নিরাপদ স্থানে রাখা হয়েছে। যদিও তিনি কোনো নির্দিষ্ট স্থানের নাম উল্লেখ করেননি। তবে রয়টার্স জানিয়েছে, বর্তমানে তাকে একটি মার্কিন জাহাজে আটক করে রাখা হয়েছে।
এদিকে আহমেদ আবু খাত্তালাকে গ্রেপ্তার করার খবর প্রকাশিত হওয়ার পর এক বিবৃতিতে প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা মার্কিন সেনাবাহিনী, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা এবং গোয়েন্দা বাহিনীর ব্যাপক প্রশংসা করেছেন। তিনি বলেন,‘ আমেরিকানরা যখনই কোনো হামলার মুখে পড়বে সেই হামলাকারীকে আমরা খুঁজে বের করবোই, তা যত সময়ই লাগুক না কেন।’
অন্যদিকে এফবিআই পরিচালক জেমস কমে বেনগাজি হামলার সঙ্গে জড়িত বাকিদেরও খুঁজে বের করার প্রত্যয় ব্যক্ত করে বলেন,‘ আমরা কখনোই আশা ছাড়িনি এবং অপরাধীদের বিচারের সম্মুখীন না করা পর্যন্ত আমরা কাজ করে যাব।’
বেনগাজি হত্যাকাণ্ডের জন্য আবু খাত্তালের বিরুদ্ধে ওয়াশিংটনের ফেডারেল কোর্টে ইতিমধ্যে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। আটক খাত্তালকে গুয়েন্তানামো সামরিক কারাগারে রাখার দাবি জানিয়েছেন রিপাবলিকান সিনেটর লিন্ডসে গ্রাহাম এবং জন ম্যাককেইন। তবে মার্কিন সরকারি কর্মকর্তারা তাদের এ দাবি নাকচ করে দিয়েছেন। মার্কিন আদালতে নিয়মমাফিক তার বিচার হবে বলেই ধারণা করা হচ্ছে।