পানি-বিদ্যুৎ সংকট, মোদির বাসভবন ঘেরাওয়ের হুমকি

পানি-বিদ্যুৎ সংকট, মোদির বাসভবন ঘেরাওয়ের হুমকি

আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ভারতের রাজধানী নয়া দিল্লির বিদ্যুৎ ও পানি সংকটের সমাধান না হলে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন ঘেরাও করার হুমকি দিয়েছে কংগ্রেস।image_86692_0

মঙ্গলবার সকালে দিল্লিতে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অরবিন্দ সিং লাভলি, প্রবীণ নেতা জগদীশ টাইটলার ও মুকেশ শর্মার নেতৃত্বে বিক্ষোভে করেন কংগ্রেস কর্মীরা।

পতপারগঞ্জ ও দিলশাদ গার্ডেন এলাকায় পোড়ানো হয় বিজেপি ও আম আদমি পার্টির নেতাদের কুশপুত্তলিকা। এ সময় পুলিশের সঙ্গে কংগ্রেস কর্মীদের সংঘর্ষ বাধে। বেশ কয়েক ঘণ্টা রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান কংগ্রেস নেতারা।

দিল্লি প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির মুখপাত্র মুকেশ শর্মা বলেন, ‘কেন্দ্রীয় সরকারকে চরম হুঁশিয়ারি দেয়া হয়েছে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বিদ্যুৎ সংকট না কাটলে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন ঘেরাও করা হবে।’

কংগ্রেসের অভিযোগ, বিদ্যুৎ সংস্থাগুলোর সঙ্গে আঁতাত রয়েছে বিজেপি-আপের। বেসরকারি বিদ্যুৎ সংস্থাগুলোর প্রতি নরম মনোভাব পোষণ করে বিজেপি সরকার।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তার নির্বাচনি বক্তব্যে আট বছরের মধ্যে দেশের প্রতিটি ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেয়ার ঘোষণা করেন। অথচ ক্ষমতায় আসার পর খোদ   রাজধানী দিল্লিতে ত্রাহি ত্রাহি অবস্থা। বিদ্যুতের ঘাটতি সামাল দিতে  হিমশিম খাচ্ছে মোদি সরকার।

গত কয়েক দিন ধরেই প্রচণ্ড গরমে নাজেহাল দিল্লিবাসী। তাপমাত্রা উঠে গেছে ৪৫ ডিগ্রির উপরে। তার উপরে দিনে ঘন ঘন বিদ্যুৎ চলে যাচ্ছে। রাজধানীর অনেক প্রান্তে বিদ্যুৎ থাকছে না রাতেও।

পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার জন্য এক সপ্তাহ আগে বিদ্যুৎমন্ত্রী পীযূষ গয়ালকে নির্দেশ দিয়েছেন মোদী। পীযূষ দুই দিনের মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার আশ্বাস দিলেও এখন বলছেন, এ ধরনের সংকট মোকাবেলা করার জন্য যে পরিকাঠামো প্রয়োজন, সেটি করেনি আগের সরকার।

পীযূষ বলেন, “নতুন সরকার  সবেমাত্র এসেছে। গ্রিডগুলো পুরনো হয়ে গিয়েছে। সরবরাহ লাইনগুলো ট্রিপ করে যাচ্ছে। পর্যাপ্ত পরিকাঠামোও নেই। ফলে এই সরকারকে দোষ দেয়া যায় না। সূত্র: আইআরআইবি

আন্তর্জাতিক