আশিয়ান সিটির উত্তরার দক্ষিণখান মৌজায় অবস্থিত আবাসিক প্রকল্পকে অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেয়া রায়ের বিরুদ্ধে আপিল আবেদন বিষয়ে ‘নো অর্ডার’ দিয়েছেন আপিল বিভাগ। ফলে হাইকোর্টের রায় বহাল থাকলো বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
সোমবার আপিল বিভাগের একটি বেঞ্চ কোনো আদেশ দেননি।
আদালতে আশিয়ান সিটির পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার রফিক-উল হক, রোকনউদ্দিন মাহমুদ ও আজমালুল হোসেন কিউসি। রিট আবেদনকারীদের পক্ষে ছিলেন সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল মাহমুদুল ইসলাম।
এর আগে ২০ জানুয়ারি হাইকোর্টের দেয়া রায় স্থগিতে আশিয়ান সিটির করা আবেদন স্থগিত না করে আপিলে পাঠিয়ে দেন চেম্বার বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।
এরপর গত ২৫ মে আশিয়ান সিটিকে হাইকোর্টের দেয়া রায়ের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিলের অনুমতি দেয় আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির বেঞ্চ।
গত ১৬ জানুয়ারি বিচারপতি সৈয়দ এ বি মাহমুদুল হক, বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি এ বি এম আলতাফ হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের বৃহত্তর বেঞ্চ সংখ্যাগরিষ্ঠের মতামতের ভিত্তিতে আশিয়ান সিটি প্রকল্প অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেন।
রায়ের স্থগিতাদেশ চেয়ে আশিয়ান ল্যান্ড ডেভেলপমেন্ট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক চেম্বার বিচারপতির আদালতে আবেদন করেন।
প্রসঙ্গত, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ছাড়াই ২০০৬ সালে উত্তরার উত্তরখান ও দক্ষিণখান এলাকায় আশিয়ান সিটি প্রকল্পের কাজ শুরু করে। প্রকল্পের জন্য যে পরিমাণ জায়গা প্রয়োজন, তার চেয়ে বেশি জমি নিয়ে কার্যক্রম শুরু করা ও অনুমোদন না নেয়ার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে জনস্বার্থে আইন ও সালিশ কেন্দ্র, অ্যাসোসিয়েশন ফর ল্যান্ড রিফর্ম অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট, বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা), বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট (ব্লাস্ট), বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন, ইনস্টিটিউট অব আর্কিটেক্ট বাংলাদেশ, নিজেরা করি ও পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন ২০১২ সালের ২২ ডিসেম্বর রিট করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট আশিয়ান সিটি প্রকল্পকে অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেন।