প্রবীণ ফটো সাংবাদিক আলহাজ জহিরুল হক আর নেই।
রোববার বাংলাদেশ সময় সকাল ৬টা ৫৭ মিনিটে তিনি দিল্লির একটি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্নালিল্লাহি…রাজিউন)। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭১ বছর।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন। এক শোকবার্তায় তিনি বলেন, ‘জাতি একজন সাহসী ও নিবেদিত প্রাণ সাংবাদিককে হারালো। তার মৃত্যুতে সংবাদপত্র জগতে যে শূন্যতা সৃষ্টি হয়েছে তা অপূরণীয়।’মরহুম জহিরুল হকের মরদেহ বিকেলে ঢাকায় আনা হবে। আগামীকাল নারায়ণগঞ্জের নবীগঞ্জে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।গত ৫ জুন থেকে দিল্লির এইসবিএস ইনস্টিটিউট অব লিভার অ্যান্ড বিলিয়ারি সাইন্সেস-এ চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি।
মৃত্যুর আগে তাকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়। গতকাল শনিবার তার মৃদু হার্ট অ্যাটাক হয়েছিল।
আলহাজ জহিরুল হক হেপাটাইটিস-বি ভাইরাসে আক্রান্ত ছিলেন। এছাড়া হৃদরোগ ও ডায়াবেটিসে ভুগছিলেন প্রবীণ এ ফটো সাংবাদিক।
এর আগে ঢাকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন জহিরুল হক। গত ১৪ মে তাকে ওই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
জহিরুল হক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ব্যক্তিগত ফটোগ্রাফার হিসেবে কাজ করেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জহিরুল হকের তোলা ছবি নিয়ে পারিবারিক অ্যালবাম তৈরি করবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন। তার কাছে বঙ্গবন্ধুর সাড়ে সাত হাজার ছবি রয়েছে।
গত ২ জুন প্রধানমন্ত্রী বিএসএমএমইউ হাসপাতালে সাংবাদিক জহিরকে দেখতে গিয়ে এ ঘোষণা দেন।
জহিরুল হক বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিষ্ঠাতা। এছাড়া একাধিকবার ওই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি নির্বাচিত হন তিনি।
পাকিস্তান আমলে দৈনিক আজাদে ফটো সাংবাদিক হিসেবে পেশাগত জীবন শুরু করেন হাজি জহির। তিনি বাংলাদেশ টাইমস, বাংলাদেশ অবজারভার, বাংলার বাণী ও দৈনিক জনকণ্ঠে কাজ করেন। এছাড়া কলকাতার দৈনিক আজকালের বাংলাদেশ প্রতিনিধি হিসেবেও কাজ করেন তিনি।