সংঘাতময় পরিস্থিতিতে ইরাকে জনশক্তি রফতানি স্থগিত

সংঘাতময় পরিস্থিতিতে ইরাকে জনশক্তি রফতানি স্থগিত

সংঘাতময় পরিস্থিতির কারণে বাংলাদেশ থেকে ইরাকে জনশক্তি রপ্তানি আপাতত স্থগিতের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার৷ পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত দেশটিতে কোনো জনশক্তি পাঠানো হবে না বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে৷image_86384_0

বাংলাদেশ মনে করে ইরাকে গৃহযুদ্ধের পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে৷ তাই পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত সেখানে বাংলাদেশ থেকে কোনো জনশক্তি পাঠানো হবে না৷ পররাষ্ট্র দফতরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, জনশক্তি রফতানির কাজ যে অবস্থায় আছে ঠিক সেখান থেকেই স্থগিত রাখতে হবে৷

বাংলাদেশের ১৪ হাজার নাগরিক এখন ইরাকে বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত আছেন৷ তারা প্রধানত নির্মাণ শিল্পে কাজ করেন৷ তাদের সার্বক্ষণিকভাবে বাংলাদেশ দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার পরামর্শ দেয়া হয়েছে৷ আর তাদের সংঘাতপূর্ণ এলাকা এড়িযে চলার পরামর্শ দেয়া হয়েছে৷ তবে সেখানে অবস্থানরত বাংলাদেশিরা এখন পর্যন্ত নিরাপদ এবং সুস্থ আছেন বলে পররাষ্ট্র দফতর জানিয়েছে৷

গত বছর বাংলাদেশ থেকে ইরাকে ৩০ হাজার জনশক্তি পাঠানোর জন্য একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছিল দুই দেশের মধ্যে৷ পররাষ্ট্র দফতর জানায়, নিরাপত্তা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত ওই শ্রমিক পাঠানোরও সব প্রক্রিয়া বন্ধ থাকবে৷

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইরাকে বাংলাদেশি দূতাবাস পরিস্থিতির ওপর সার্বক্ষণিক নজর রাখছে৷ আর বাংলাদেশ সরকারও পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে৷ বাংলাদেশ আশা করছে ইরাক আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সহায়তায় পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠবে৷ সেখানে সব জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে একটি স্বার্থক সংলাপের প্রয়োজন বলে মনে করে বাংলাদেশ সরকার৷

এদিকে ইরাকে অবস্থানরত বাংলাদেশি শ্রমিকরা টেলিফোনে তাদের ভয় এবং আতঙ্কের কথা জানান৷ জনশক্তি রফতানিকারকদের সংগঠন বায়রার মহাসচিব আলী হয়াদার চৌধুরী ডয়চে ভেলেকে জানান, সেখানে অবস্থানরতদের বড় একটি অংশই বাগদাদে রয়েছেন৷ তবে বাগদাদ আক্রান্ত হলে তাদের নিরাপত্তার কী হবে, তাদের কিভাবে সরিয়ে নেয়া হবে তা তারা জানেন না৷ বিশেষ করে মসুল ও তিকরিক দখলের সময় সেসব এলাকায় অবস্থানরত বাংলাদেশিরা ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে দেশে আত্মীয়-স্বজনের কাছে ফোন করেন বলে তিনি জানান৷ তারা অনেকেই এখন দেশে ফিরতে চাইছেন৷ সূত্র: ডিডব্লিউ

অর্থ বাণিজ্য