কালশী হত্যাকাণ্ড নিয়ে যারা বিভিন্নভাবে জায়গা দখল ও বস্তি দখলের কথা বলে গরুর মতো রচনা করছে তারা যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচানোর চেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ করেছেন ঢাকা-১৬ আসনের সংসদ সদস্য ইলিয়াস উদ্দীন মোল্লাহ।
শনিবার রাত সাড়ে ১১টায় বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল ৭১ এর নিয়মিত টকশো ৭১ জার্নালে ফোনালাপে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ মন্তব্য করেন।
এ সময় ইলিয়াস মোল্লাহ বলেন, “এ ঘটনায় আমি মর্মাহত, আমি শোকাহত। আজকে যারা মারা গেছে অবাঙালি তারা সবাই আমার ভোটার। আমি একটি কথা বলতে চাই, শুধু আজকের রাতই নয়, গত তিনদিন ধরে আমি আমার পুলিশ প্রশাসন সব দিকে নজর রাখছি। এই নজরের মধ্য দিয়ে মোটামোটি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ঠিক ছিল। কিন্তু কুর্মিটোলা ক্যাম্পে যে ঘটনাটি ঘটেছিল বিদ্যুৎ নিয়ে এটি সঙ্গে আজকের ঘটনার কোনো সম্পর্ক নেই।”
ইলিয়াস মোল্লা বলেন, “গত ১০ তারিখে একটি ঘটনা ঘটেছিল কেউ কেউ বিদ্যুৎ না পেয়ে রাস্তা অবরোধ করেছিল। সেখানে আমি গিয়েছিলাম, সমস্যা সমাধান করে এলাম। এক পক্ষ বিদ্যুৎ নিতে চেয়েছিল, আরেক পক্ষ বলল তাদের বিদ্যুৎ দেব না। এখান থেকে বিদ্যুৎ দিলে সার্কিট পড়ে যায়। আমি বললাম তাহলে ডাইরেক্ট করে দিই। পরে আমি বিদ্যুৎতের লোকজন দিয়ে একটি চঙ্গ তুলি বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়ার জন্য। পরে আরেক পক্ষ এসে চঙ্গ নামিয়ে দেয়। পরে উভয় পক্ষকে বলি তোমরা যেভাবে আছো সেভাবেই থাক, আমরা এটি নিয়ে তোমাদের চেয়ারম্যান ভন্ঠুর সঙ্গে কথা বলে এই সমস্যার সমাধান করবো। এ কথা বলে আমি সেখান থেকে চলে আসি।”
তিনি বলেন, “আজ যে ঘটনাটা ঘটেছে এটি সঙ্গে বিদ্যুৎতের কোনো সম্পর্ক নেই। এটি আতশবাজির কারণে হয়েছে। তবে বিদ্যুৎতের ঘটনার জন্য এটি বন্ধ হয়নি। কেউ একটি পটকা মারলে অন্যপক্ষ দুইটি মারে। কেউ দুইটি মারলে চারটি মারে। আর এ কারণে পুলিশও এটি বন্ধ করতে পারেনি।”
ঘটনার সময় তাকে পাওয়া যায়নি কেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, “শবে বরাত একটি ইবাদত বন্দেগির রাত। এই রাতে ইবাদতের কারণে আমি ঘুম থেকে উঠতে দেরি করি। তবে ঘুম থেকে উঠার পর যেভাবে পারি সবাইকে সহযোগিতা করেছি।”