নূর হোসেনকে ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া শুরু শিগগির

নূর হোসেনকে ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া শুরু শিগগির

নারায়ণগঞ্জের আলোচিত সাত খুনের ঘটনায় মূল হোতা নূর হোসেন ভারতের কলকাতায় গ্রেফতার হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে পুলিশ সুপার (এসপি) খন্দকার মহিদ উদ্দিন জানিয়েছেন, শিগগির তাকে দেশে ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া শুরু হবে।image_86399_0

রোববার সকালে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে পুলিশ সুপার এ কথা জানান।  নূর হোসেনের গ্রেফতারে এ মামলার অগ্রগতি হবে বলে আশা তার।

খন্দকার মহিদ উদ্দিন বলেন, “কলকাতা পুলিশের সংশ্লিষ্ট শাখার সঙ্গে কথা বলে নিশ্চিত হয়েছি, গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তি নারায়ণগঞ্জের সাত খুনের মামলার প্রধান আসামি নূর হোসেন। তাকে দেশে আনার আইনগত প্রক্রিয়া শিগগিরই শুরু হবে।”

তিনি জানান, ভারতের সঙ্গে আমাদের বন্দী বিনিময় চুক্তি রয়েছে। এজন্য তাকে ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রে কোনো প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হবে না।

শনিবার রাতে কলকাতার দমদম বিমানবন্দরের কাছে কৈখালী এলাকায় বহুতল একটি আবাসন ভবনের চতুর্থ তলা থেকে তাদের গ্রেফতার করেছে ভারতীয় অ্যান্টিটেরোরিজম স্কোয়াড। তারা বর্তমানে বাবুইহাটি থানায় পুলিশের হেফাজতে রয়েছে। সোমবার তাদের বারাসাত আদালতে হাজির করা হবে। নূর হোসেনের সঙ্গে গ্রেফতার হওয়া অন্যরা হলো- ঢাকার দুর্ধর্ষ তিন সন্ত্রাসী শামীম, আসিক ও আসিফ।

জানা গেছে, গোপন খবরের ভিত্তিতে শনিবার ভারতীয় সময় রাত সাড়ে ১১টার দিকে ইন্দ্রপ্রস্ত’ ভবনের একটি ফ্ল্যাটে ভারতীয় অ্যান্টিটেরোরিজম স্কোয়াড তাকে ধরার জন্য অভিযান চালায়। সে সময় বাসার দরজায় টোকা দিলে দরজা খোলার সঙ্গে সঙ্গে এই বাহিনী ভেতরে ঢুকে পড়ে। তাদের ধারণা ছিল, নূর হোসেনের কাছে ভারী অস্ত্র রয়েছে। এ কারণে তারা প্রস্তুতি নিয়েই ভেতরে প্রবেশ করে। কিন্তু নূর হোসেন কিছু বুঝে ওঠার আগেই তাদের গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় তারা। জানা গেছে, ওই ফ্ল্যাটের মালিক সীমা সিংহ।

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম ও অ্যাডভোকেট চন্দন সরকারসহ সাতজনকে গুম ও হত্যার মহৃল আসামি নূর হোসেন। তাকে ধরার জন্য ইন্টারপোলে রেড ওয়ারেন্ট জারি করা হয়। গত ২৭ এপ্রিল অপহরণ ও গুমের ঘটনার পর হত্যা মামলার প্রধান আসামি নূর হোসেন ভারতে পালিয়ে যান।

বাংলাদেশ