বিমানবন্দর থেকে সড়ক পথে ক্যান্টনমেন্টের ভেতর দিয়ে জাহাঙ্গীর গেট হয়ে সরকারি বাসভবন গণভবনে প্রবেশ করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে বৃষ্টিতে ভিজে দুপুর ১২টা থেকে জাহাঙ্গীর গেট থেকে গণভবন পর্যন্ত রাস্তার দুপাশে বিভিন্ন ব্যানার ও ফেস্টুন নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন যুবলীগের নেতাকর্মীরা। প্রধানমন্ত্রী যখন এই পথ দিয়ে যান তখন যুবলীগ কর্মীরা ফুলের পাপড়ি ছিটিয়ে তাকে স্বাগত ও অভ্যর্থনা জানান। এ সময় তারা চীন সফরকে সফল হিসেবে উল্লেখ করে বিভিন্ন শ্লোগান দেন। প্রধানমন্ত্রী তাঁর গাড়ি থেকে হাত নেড়ে উত্ফুল্ল নেতাকর্মীদের অভ্যর্থনার জবাব দেন।
ঢাকা মহানগরীর ১৫টি নির্বাচনী এলাকা, ৪১টি থানা এবং শতাধিক ওয়ার্ড থেকে যুবলীগের অসংখ্য মিছিলের স্রোত এসে মিশেছিল জাহাঙ্গীর গেট থেকে গণভবন পর্যন্ত রাস্তার দু’পাশে।
এছাড়া আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, যুব মহিলা লীগসহ আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনগুলোর শত শত নেতাকর্মী বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানান। ব্যাপক জনসে াতের কারণে রাজধানীতে কিছুটা যানজটের সৃষ্টি হয়। এর আগে প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর সফরসঙ্গীরা ঢাকার উদ্দেশ্যে গতকাল চীনের স্থানীয় সময় বেলা ১১টায় (বাংলাদেশ সময় সকাল ৯টা) বেইজিং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করেন। চীনের পররাষ্ট্র বিষয়ক ভাইস মিনিস্টার লিউ ঝেনমিন এবং বেইজিংয়ে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ আজিজুল হক বিমানবন্দরে তাকে বিদায় জানান।
প্রধানমন্ত্রীর এবারের এই সফরে চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের দুটি চুক্তি, দুটি সমঝোতা স্মারক এবং দুটি বিনিময়পত্র স্বাক্ষরিত হয়েছে। সফরকালে শেখ হাসিনা চীনের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে শীর্ষ বৈঠকের পাশাপাশি চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে সাক্ষাত্ এবং চীনের পিপলস পলিটিকাল কনসালটেটিভ কনফারেন্সের চেয়ারম্যান জু ঝেংশেংয়ের সঙ্গে বৈঠক করেন।
প্রধানমন্ত্রী তিয়েনআনমেন স্কয়ারে জননায়ক স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ এবং বেইজিং চাওইয়াং থিয়েটার ও অ্যাক্রোবেটিক ওয়ার্ল্ড পরিদর্শন করেন। শেখ হাসিনা তাঁর সম্মানে চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কেকিয়াংয়ের দেয়া এক ভোজসভায়ও যোগ দেন। এছাড়া তিনি আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সম্প্রসারণের জন্য চীনা পরিষদের (সিসিপিআইটি) উদ্যোগে আয়োজিত বাংলাদেশ-চীন অর্থনৈতিক ও বাণিজ্য সহযোগিতা ফোরামে ভাষণ দেন।
চীন সফরকালে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে অন্যান্যের মধ্যে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী, প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম, প্রধানমন্ত্রীর মিডিয়া উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, পররাষ্ট্র সচিব শহিদুল হক, প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব এ কে এম শামীম চৌধুরী প্রমুখ ছিলেন। এছাড়া ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি কাজি আকরাম উদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে ৭০ সদস্যের একটি ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদলও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে চীন সফর করেন।