ভাই আরজিন হকের সঙ্গে সিটি কলেজে এসে খুন হলো ছোটভাই আয়াজ হক (১৬)। সে এবার ধানমণ্ডি গর্ভমেন্ট ল্যাবরেটরি স্কুল থেকে ‘এ প্লাস’ পেয়ে এসএসসি পাস করে।
ধানমণ্ডির ঝিগাতলায় সোমবার বিকেলের দিকে সিটি কলেজের কয়েকজন শিক্ষার্থী আয়াজকে পিটিয়ে ও ছুরিকাঘাতে আহত করে। পরে তাকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে যাওয়া হলে পৌনে ৬টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। তার বাবার নাম অ্যাডভোকেট শহীদুল হক। সে ৬৬/৪ নর্থ সার্কুলার রোড কলাবাগান এলাকায় থাকতো।
ধানমণ্ডি থানার এএসআই জাহাঙ্গীর আলম জানান, সোমবার বিকেল সোয়া ৪টার দিকে ওই ছাত্রকে ঝিগাতলার বিজিবি গেটের অদূরে আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। ওই সময় সে যন্ত্রণায় ছটফট করছিল।
স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে তিনি জানান, সিটি কলেজের কয়েকজন ছাত্র ছেলেটিকে ব্যাপক মারধর করে।
ধানমণ্ডি থানার ওসি (তদন্ত) আশোক চৌহান বাংলামেইলকে জানান, সিটি কলেজের সাইন্স ও কমার্স ফ্যাকাল্টির মধ্যে ফুটবল খেলার চাঁদা সংগ্রহকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ বাধে। খেলাটি সাইন্স ল্যাবরেটরি স্কুল মাঠে হওয়ার কথা ছিল। এসময় সাইন্স ফ্যাকাল্টির ছাত্র আরজিন হকের সঙ্গে ছোটভাই আয়াজও সেখানে উপস্থিত ছিল।
একপর্যায়ে দু’পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। পুলিশ তাদেরকে ধাওয়া করলে তারা ঝিগাতলা পুলিশ বক্সের সামনে গিয়ে জড়ো হয়। এসময় আয়াজকে বহিরাগত হিসেবে ব্যাপক মারধর ও ছুরিকাঘাত করা হয়। পরে স্থানীয় লোকজন ঘাতকদের ধাওয়া করে। ওইসময় সেখান দিয়ে পুলিশের একটি টহল গাড়ি যাচ্ছিল। সেই গাড়ি থেকে পুলিশ নেমে শিক্ষার্থীদের ধাওয়া দিয়ে দুই জনকে আটক করে।
নিহতের পরিবারের বরাত দিয়ে ওসি (তদন্ত) আরো জানান, নিহত আয়াজ এবার এসএসসিতে এ প্লাস পেয়েছে। সে নটরডেম কলেজে ভর্তির প্রস্তুতি নিচ্ছিল। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানান তিনি। এদিকে রাত সাড়ে ১০টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যান তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু। এসময় তিনি নিহত আয়াজের পরিবারকে সান্ত্বনা দেন।