বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে সীমান্ত ব্যবস্থাপনা বিষয়ে আলোচনার জন্য মঙ্গলবার দুদেশের সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর শীর্ষ পর্যায়ের একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।
বৈঠকে যোগ দিতে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বিজিবির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আজিজ আহমেদ সোমবার মিয়ানমারে গিয়েছেন।
বিজিবির মহাপরিচালক আজিজ আহমেদ জানান, এ ধরনের একটি বৈঠকের উদ্যোগ অনেকদিন থেকেই চলছিল। তবে মিয়ানমারের তরফ থেকে যথেষ্ট সাড়া না মেলায় তা সম্ভব হয়নি। সর্বশেষ এ ধরনের বৈঠক হয়েছিল ২০১০ সালে।
বিজিবি মহাপরিচালক লে. জে. আজিজ আহমেদ জানান, বাংলাদেশ মূলত যেসব বিষয়ে গুরুত্ব দেবে তার মধ্যে প্রথমেই আসবে মিয়ানমার থেকে নোশাজাতীয় দ্রব্য ইয়াবার চালান বাংলাদেশ ভূ-খণ্ডে প্রবেশের বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে বাংলাদেশের উদ্বেগ তুলে ধরা হবে।
এছাড়া সাম্প্রতিক সময়ে বান্দরবানে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত এলাকায় বিজিবির সঙ্গে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশ বিজিপির গোলাগুলি এবং একজন বিজিবি সদস্য নিহত হবার পর উত্তেজনাকর পরিস্থিতিরি তৈরি হয়।
এ ঘটনায় মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে তলব করে বাংলাদেশ সরকার সীমান্তরক্ষী হত্যার প্রতিবাদ জানায়। পরে ঢাকায় কর্মকর্তারা জানানা, ভুল বোঝাবুঝির কারণে এমনটি ঘটেছে।
বিজিবি মহাপরিচালক মি আহমেদ জানান, সীমান্তে ভুল বোঝাবুঝি কিংবা উত্তেজনাকর পরিস্থিতির তৈরি হলে শিগগিরই সেটি নিরসনের উদ্যোগ কিভাবে নেয়া যায় সেটি আলোচনায় গুরুত্ব পাবে।
দুদেশের সীমান্তে অনেকসময় কোনো ঘটনা ঘটে গেলে সেটি নিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে মিয়ানমারের সঙ্গে যোগাযোগ করা কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে। বিষয়টি যেন আরো সহজসাধ্য হয় সে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হবে।
বিজিবির মহাপরিচালক বলেন, “ভারতের সঙ্গে যেভাবে সীমান্ত ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম চলে মিয়ানমারের সঙ্গেও সে ধরনের একটি প্রক্রিয়া অনুসরনের প্রস্তাব দেয়া হবে বৈঠকে।” সূত্র: বিবিসি