জিরো টলারেন্স নীতির কারণেই বাংলাদেশ সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমনে সফল হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী হচ্ছে বলেও দাবি করেন প্রধানমন্ত্রী।
সোমবার সকালে চীনের বেইজিংয়ে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক অগ্রগতিতে চীনের অংশীদারিত্ব বিষয়ক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমাদের জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স রয়েছে, এ কারণেই আমরা এ ক্ষেত্রে সফলতা অর্জন করেছি। আমরা বিডিআর বিদ্রোহে জড়িত অপরাধীদের শাস্তি দিয়েছি। জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের ১৮ সদস্য হত্যাকাণ্ডে জড়িত পরিবারের সদস্যরাও যথাযথ বিচার পেয়েছে। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় যারা আহত ও নিহত হয়েছিলেন সেটার বিচারও প্রক্রিয়াধীন। ১৯৭১ সালে মানবতাবিরোধী অপরাধে যারা জড়িত ছিলো তাদের বিচার কাজও আন্তর্জাতিক মানদণ্ড মেনেই করা হচ্ছে।”
সেমিনারে বক্তব্যের পরে চীনা প্রধানমন্ত্রী লি কেকিয়াংয়ের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক বৈঠক করবেন শেখ হাসিনা। পরে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠিত হবে। সন্ধ্যায় চীনের প্রধানমন্ত্রীর আয়োজনে এক ভোজসভায় তিনি অংশ নেবেন।
প্রধানমন্ত্রী মঙ্গলবার বাংলাদেশ চায়না ট্রেড এন্ড ইকোনমিক কোঅপারেশন ফোরামে মূল বক্তব্য দেবেন।
শেখ হাসিনা চীনের প্রেসিডেন্ট জি জিনপিং এবং চায়নিজ পিপলস পলিটিক্যাল কনসালটেটিভ কনফারেন্সের (সিপিপিসিসি) চেয়ারম্যান উ ঝেংশেংয়ের সঙ্গে বৈঠক করবেন।
প্রধানমন্ত্রী সিসিটিভি, ফনিক্স টিভি, ইউনান টিভি ও চায়না রেডিও ইন্টারন্যাশনালের বাংলা বিভাগকে সাক্ষাৎকার দেবেন। এছাড়া চীনের কমিউনিকেশন ইউনিভার্সিটির বাংলা বিভাগের ছাত্রছাত্রীদের আয়োজিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেও তিনি যোগ দেবেন।