চরাঞ্চলের শিক্ষকদের ভাতা চালুর সুপারিশ

চরাঞ্চলের শিক্ষকদের ভাতা চালুর সুপারিশ

চরাঞ্চলে অবস্থিত স্কুলে নিয়োজিত শিক্ষক-শিক্ষিকাদের চরভাতা চালু করতে প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছে সংসদীয় স্থায়ী কমিটি।image_85571_0

এ বিষয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মোস্তাফিজার রহমান বলেন, আমরা দেশের চর-অঞ্চলের অবহেলিত শিক্ষকদের চরভাতা দেয়ার জন্য সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তবে কবে দিতে পারবো তা এখনই বলা যাচ্ছে না।

একই সঙ্গে বিদ্যুৎবিহীন বিদ্যালয়ে ল্যাপটপ না দিয়ে বিদ্যুৎ আছে এমন বিদ্যালয়ে ল্যাপটপ বিতরণ নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে বলে মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।

এছাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা বৃক্তি ও বার্ষিক পরীক্ষা দিতে অনেক সময় সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। সে জন্য স্থায়ীভাবে পরীক্ষার হল নির্মাণের প্রস্তাব করা হয়েছে।

মন্ত্রণালয়ে পাঠানো পত্রে বলা হয়েছে, জাতীয়করণকৃর্ত যেসব প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বেতন এখন পর্যন্ত প্রদানের বিষয়টি নিষ্পত্তি করা হয়নি তা জরুরি ভিত্তিতে আগামী ৩০ জুনের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে হবে। এছাড়া একটি বিদ্যালয়ে শতভাগ পুরুষ বা শতভাগ মহিলা শিক্ষক থাকা উচিত নয় বলে সুপারিশে বলা হয়েছে।

নতুন যেসব স্কুল সরকারিকরণ করা হয়েছে এবং এর আগে থেকে যেসব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বয়েছে সেসব স্কুলশিক্ষকের মধ্যে আন্তঃবদলীয় ব্যবস্থা নেয়া যেতে পারে। শিক্ষকদের নিজ গ্রামে বা এলাকায় থাকতে হবে এমন নয়, সাধারণ সরকারি চাকুরেদের মতো তাদের বদলীয় ব্যবস্থা রাখা যেতে পারে।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক মাঠ পর্যায়ে বাস্তবায়িত প্রকল্প, প্রাথমিক শিক্ষার মান বৃদ্ধি এবং প্রাথমিক গণশিক্ষার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের কার্যক্রম জোরদার ও নিবিড় পর্যবেক্ষণের লক্ষ্যে বিভাগীয় এবং প্রয়োজনে জেলা পর্যায়ে বৈঠক করতে হবে।

পত্রে আরো বলা হয়েছে, শিক্ষকদের মান সমন্বয়ের জন্য রেজিস্ট্রার সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মধ্যে পারস্পারিক বদলির ব্যবস্থা গ্রহণ করা।

বর্তমানে ৬৫ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে এবং চার লাখের বেশি শিক্ষক-শিক্ষিকা ও কর্মচারী সারাদেশে রয়েছে।

বাংলাদেশ