আওয়ামী লীগের জেলা-বিভাগীয় পর্যায়ের কাউন্সিলে সৎ ও যোগ্য নেতৃত্ব আসবে বলে জানিয়েছেন দলের সাধারণ সম্পাদক ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম।
রোববার সন্ধ্যায় আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পদাকদের এক যৌথসভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
আওয়ামী লীগের জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে শামীম ওসমান ও জয়নাল হাজারীর মতো গডফাদাররা কমিটিতে আসবে কিনা? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে সৈয়দ আশরাফ বলেন, “আমরা মনে করি সৎ, যোগ্য ও সামাজিকভাবে প্রতিষ্ঠিতরা কমিটিতে স্থান পাবে। আমি কাউন্সিলরদের উৎসাহ দেব, তারা যেন এমন ব্যক্তিদের নির্বাচিত করেন।”
এ সময় ‘বঙ্গবন্ধু হত্যার সঙ্গে আওয়ামী লীগের কাছের লোক জড়িত ছিল’ বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন বক্তব্যের সামালোচনা করে আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ বলেন, “এই হত্যার মূল আসামিদের সঙ্গে জিয়াউর রহমানের সম্পৃক্ততা ছিল। তার স্বার্থ না থাকলে কেন তিনি কর্নেল রশীদ, ফারুকদেরকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দিয়েছেন! মির্জা ফখরুল এর ব্যাখ্যা দিক।”
অপর এক প্রশ্নের জবাবে হানিফ বলেন, “জনগণ শেখ হাসিনাকে ভোট দিয়ে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় বসিয়েছেন। তাছাড়া গত পাঁচ বছরে শেখ হাসিনা যে উন্নয়ন করেছেন, তার জন্য জনগণ তাকে আবারো ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবেন। কারণ বিএনপির আমলে দুর্নীতি ছাড়া আর কিছুই হয়নি। তাই আওয়ামী লীগের সা্ধারণ সম্পাদক শনিবার যে বক্তব্য দিয়েছেন তা যথার্থ।”
বৈঠকে দেশের পাঁচটি জেলা ও দুটি মহানগরের কাউন্সিল করার সিদ্ধান্ত হয়। এর মধ্যে-২১ জুন মুন্সিগঞ্জ, ২৬ জুন বরগুণা, ২৭ জুন পটুয়াখালী, ২৮ জুন কিশোরগঞ্জ, ১২ জুলাই ঠাকুরগাঁও, ১৫ জুলাই খুলনা মহানগর ও ১৯ জুলাই রাজশাহী মহানগর সম্মেলনের সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা করা হয়। তবে এই তারিখ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে ফেরার পর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে।
বৈঠক শেষে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, “বৈঠকে আমরা মূলত কাউন্সিল নিয়েই বেশি আলোচনা করেছি। সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে সারা দেশে বিভাগীয় প্রতিনিধি সম্মেলন করা হবে। এছাড়া যেসব জেলায় অসন্তোষ রয়েছে, সেখানে দলীয়ভাবে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাধারণ সম্পাদককে জানানো হয়েছে। বিভিন্ন জেলার সংসদ সদস্যদের সঙ্গে কেন্দ্রের যে যোগাযোগ ঘাটতি রয়েছে তা পূরণেরও উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।”
এ সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন দলের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ডা. দীপু মনি, জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, অ্যাডভোকেট মিজবাহ উদ্দিন সিরাজ, বি. এম মোজাম্মেল হক, আ. ফ. ম বাহাউদ্দিন নাছিম, বীর বাহাদুর, আবু সাঈদ আল মামুন স্বপন, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী প্রমুখ।