বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের ২৮৫ কিলোমিটার কাঁটাতারের বেড়া এবং ২৮৫ কিলোমিটার কয়েকটি ধাপে রিং রোড তৈরি করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। শিগিগিরই তা বাস্তবায়ন করা হবে। স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল এ কথা জানিয়েছেন।
রবিবার জাতীয় সংসদের বাজেট অধিবেশনে ফেনী-২ আসনের সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারীর লিখিত প্রশ্ন- ‘সীমান্তে চোরাচালান এবং মাদক রোধে কী ব্যবস্থা চালু রয়েছে এবং চোরাচালান ও মাদক প্রবেশ বন্ধে প্রতিরোধ কার্যক্রম জোরদার হবে কিনা’ এর উত্তরে প্রতিমন্ত্রী এ কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ-মায়ানমার সীমান্তে মোট ২৮৫ কিলোমিটার কাঁটাতারের বেড়া এবং ২৮৫ কিলোমিটার রিং রোড তৈরির পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। যা শিগগিরই বাস্তবায়ন করা হবে। কারণ সীমান্তে অপরাধ এবং মাদক পাচার দমনে প্রতিরোধের অংশ হিসেবে প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারত, মায়ানমার এবং আমেরিকাসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের স্থল সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া এবং এসব এলাকায় রিংরোড রয়েছে। যেখানে গাড়িতে করে টহল কার্যক্রমের মাধ্যমে কার্যকরি নজরদারি করা সম্ভব।
আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, সীমান্ত এলাকাগুলোতে চোরাচালান ও মাদক আমদানীরোধে সরকারের আন্তরিক প্রচেষ্টা ও বিজিবির সার্বক্ষনিক টহল কার্যক্রম পরিচালনা, নিশ্চিদ্র তল্লাশি এবং নজরদারি বৃদ্ধির ফলে সীমান্ত পথে চোরাচালানসহ যাবতীয় মাদকদ্রব্যের অনুপ্রবেশ অনেকাংশে হ্রাস পেয়েছে।
তিনি বলেন, বর্তমানে সীমান্তে ৫৪০টি বিওপি রয়েছে। তার মধ্যে ২৩টি বিওপিকে সংবেদনশীল বিওপি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। সীমান্তের বিওপিসমূহের মধ্যবর্তী স্থানে বিজিবির নিজস্ব অর্থায়নে এ পর্যন্ত ১২৪টি বর্ডার সেন্ট্রি পোস্ট (বিএসপি) তৈরি করা হয়েছে। এছাড়া আরো বিএসপি তৈরির কাজ চলমান রয়েছে।
স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সংসদকে জানান, মাদকদ্রব্য অপব্যবহার ও চোরাচালানরোধে সীমান্তের সন্দেহজনক বিভিন্ন স্থানে টাস্কফোর্সের অভিযান পরিচালনা অব্যাহত রয়েছে। এ বিষয়ে গোয়েন্দা কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে পাশ্ববর্তী দেশে ফেনসিডিল তৈরির কারখানাগুলো চিহ্নিত করা হয়েছে। এসব ধ্বংস করতে বিগত ২০১৩ সালের ১৪-১৯ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত বিজিবি মহাপরিচালক এবং বিএসএফ মহাপরিচালক পর্যায়ে সীমান্ত সম্মেলনে বিএসএফ প্রতিনিধিদের কাছে ফেন্সিডিল তৈরির কারখানার বুকলেট হস্তান্তর করা হয়েছে।