প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, চীন বাংলাদেশের উন্নয়নের অংশীদার। বাংলাদেশ-চীন-ভারত-মিয়ানমার অর্থনৈতিক করিডোর বিসিআইএম-ইসি বাস্তবায়ন হয়ে গেলে দুই দেশের সহযোগিতামূলক সম্পর্ক আরো জোরদার হবে ।
স্থানীয় সময় শুক্রবার বিকালে কুনমিং ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন অ্যান্ড এঙিবিশন সেন্টারে আয়োজিত দ্বিতীয় চীন-দক্ষিণ এশিয়া এঙপোজিশনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দেয়া বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। চীনে ছয় দিনের সফরে গিয়ে বর্তমানে কুনমিঙে অবস্থান করছেন প্রধানমন্ত্রী।
২০০৯ সালে প্রণীত চীনের ‘গেটওয়ে পলিসি’র প্রশংসা করেন প্রধানমন্ত্রী এবং দক্ষিণ-পশ্চিম চীনের সঙ্গে দক্ষিণ এশিয়ার সম্পর্ক উন্নয়নে দেশটির ইউন্নান প্রদেশের অবদানের কথাও উল্লেখ করেন তিনি।
চীনের বড় ধরনের বিনিয়োগের ফলে দক্ষিণ এশিয়ার অবকাঠামো উন্নয়ন তরান্বিত হচ্ছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সার্বিক দিক থেকেই চীনের সঙ্গে সম্পর্ক আরো জোরদার করার আশা রাখে বাংলাদেশ।
দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় জাতি সংস্থা আসিয়ান ও আঞ্চলিক সহযোগিতার জন্য দক্ষিণ এশীয় সংস্থা সার্কের মধ্যবর্তী স্থানে বাংলাদেশের কৌশলগত অবস্থানের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী জানান, সংস্থা দু’টির সঙ্গে বাংলাদেশের যে অর্থনৈতিক সংযোগ সৃষ্টি হয়েছে তা বাংলাদেশ তো বটেই, এমনকি সংস্থা দু’টির অন্যান্য সদস্য দেশগুলোর উন্নয়নেও যথেষ্ট সম্ভাবনার পথ খুলে দিয়েছে।
বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশের সঙ্গে চীনের পারস্পরিক শ্রদ্ধার সম্পর্কেল কারণে দেশগুলোর দারিদ্র্য ও অন্যান্য সমস্যার সমাধানেও চীনের অব্যাহত সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।
অনুষ্ঠানটিতে আরো বক্তব্য দেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী সুশীল কৈরালা, চীনা রাজ্যসভার ভাইস প্রিমিয়ার ওয়াং ইয়াং, মালদ্বীপের ভাইস প্রেসিডেন্ট ড. মোহাম্মদ জামিল, লাও পিডিআর-এর উপ-প্রধানমন্ত্রী সোমসাভাত লেংসাভাদ এবং সার্কের মহাসচিব চান্দিমা উইরাক্কোদি।