চীনের প্রধানমন্ত্রী লী কেজিয়াংয়ের আমন্ত্রণে ৬ দিনের সরকারি সফরে চীনে পৌঁছেছেন। চীন সফরকালে তিনি চীনের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এক আনুষ্ঠানিক বৈঠক করবেন। এ ছাড়া বাংলাদেশের সঙ্গে চীনের ৫-৬টি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই হতে পারে।
শুক্রবার বেইজিংয়ের স্থানীয় সময় বেলা সাড়ে ১১টার দিকে (বাংলাদেশ সময় সকাল সাড়ে ৯টা) প্রধানমন্ত্রীকে ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমানটি কুনমিং চাংশুই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
চীনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আজিজুল হক এবং সে দেশের সরকারি প্রতিনিধিরা বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানান।
পরে শেখ হাসিনা বিমানবন্দর থেকে সোজা গ্রিন লেক হোটেলে যান। কুনমিং অবস্থানকালে তিনি এই হোটেলেই থাকবেন।
এর আগে শুক্রবার স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ৭টার দিকে প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী বাংলাদেশ বিমানের একটি ভিভিআইপি ফ্লাইট চীনের উদ্দেশে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করে।
শেখ হাসিনা তার সফরের প্রথম পর্যায়ে কুনমিং যাবেন এবং সেখান থেকে রবিবার চীনের রাজধানী বেইজিং যাবেন।
কুনমিংয়ে অবস্থানকালে তিনি দ্বিতীয় চীন সাউথ এশিয়া এক্সপোর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এবং জুনান প্রদেশের গভর্নর লী জিহেংয়ের দেয়া এক ভোজসভায় যোগ দেবেন।
শেখ হাসিনা চীনের প্রেসিডেন্ট ঝি জিনপিং, চাইনিজ পিপলস পলিটিক্যাল কনসালটেটিভ কনফারেন্সের (সিপিপিসিসি) চেয়ারম্যান উ ঝেনসেংয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন।
এ ছাড়াও তিনি তার এই সফরকালে চীনের উপ-প্রধানমন্ত্রী ওয়াং ইয়াংয়ের সঙ্গেও বৈঠকে মিলিত হবেন।