বিপিএল ম্যাচ ফিক্সিং ঘটনার পূর্ণাঙ্গ রায় ঘোষণা করা হবে আট জুন। এই দিনই জানা যাবে, আশরাফুলসহ জড়িতদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নিচ্ছে ট্রাইবুন্যাল।
এর আগে রায়ের বিস্তারিত জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল গত ২৬ ফেব্রুয়ারি। সঙ্গে সপ্তাহ দুয়েকের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ রায় প্রদানের ঘোষণাও। পরে জানা গেল, অপেক্ষা করতে হবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শেষ হওয়া পর্যন্ত। বিশ্বকাপের পর পেরিয়ে গেছে অনেকদিন। এরপর বলা হল মে মাসের দ্বিতীয় বা তৃতীয় সপ্তাহে রায় ঘোষণা করা হবে। কিন্তু তাও করা হয়নি।
বিপিএল ফিক্সিংয়ের তদন্ত ও বিচার হয়েছে মূলত মোহাম্মদ আশরাফুলের জবানবন্দির ভিত্তিতে। অপরাধ স্বীকার করা তিনজনেরই শাস্তি পাওয়া অবধারিত। আশরাফুলের ক্ষেত্রে সেটি সর্বনিম্ন পাঁচ বছর থেকে সর্বোচ্চ আজীবন বহিষ্কারাদেশ পর্যন্ত হতে পারে। তথ্য গোপনের অপরাধে অপরাধী লোকুয়ারাচ্চি ও লু ভিনসেন্টের ক্ষেত্রে যেটি সর্বনিম্ন এক বছর থেকে সর্বোচ্চ দুই বছরের নিষেধাজ্ঞা। ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটরসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শিহাব চৌধুরীর ফিক্সিংয়ে সম্পৃক্ততার ব্যাপারেও নিঃসন্দেহ হয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। শাস্তি পেতে হবে তাকেও। রায় ঘোষণার ২১ দিনের মধ্যে এর বিরুদ্ধে আপিল করার সুযোগ থাকবে দুই পক্ষেরই। অভিযোগের বিবরণ, সব পক্ষের বক্তব্য, এ জাতীয় অন্যান্য ট্রাইব্যুনালের উদাহরণ, শাস্তির ধরন ইত্যাদি মিলিয়ে রায়টা প্রায় ১২৫ পৃষ্ঠার কাছাকাছি হবে বলে জানিয়েছে সূত্র।