সাংবদিক সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ড প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘সাংবাদিক মানিক সাহা ও হুমায়ুন কবির বালু হত্যাকাণ্ডের পর যদি সবাই এভাবে আন্দোলনে নামতো তাহলে হয়তো এ ধরনের ঘটনা আর ঘটতো না। কিন্তু তখন সবাই নামেনি বিএনপি ক্ষমতায় ছিল এই কারণে হয়তো! এখন আমরা ক্ষমতায় আছি এ কারণে নেমেছে হয়তো।’
প্রধানমন্ত্রী বৃহস্পতিবার সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের তৃণমূল নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় এসব কথা বলেন।
‘সাংবাদিকরা সবাই মিলে এখন আন্দোলনে নেমেছেন’ উল্লেখ করছে প্রধানমন্ত্রী এসময় আরও বলেন, ‘গণমাধ্যম এখন মুক্ত-স্বাধীন। তারা স্বাধীনভাবে কাজ করছে। সেভাবেই লিখছে আবার মিথ্যা তথ্যও পরিবেশণ করছে। তারা এখন আন্দোলন করছে। কিন্ত সরকারের পক্ষে তো সম্ভব না কারও বেডরুম পাহাড়া দেওয়ার। এ ঘটনার তদন্ত হচ্ছে। বাচ্চাকে (মেঘ) যেভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে সেটা ঠিক হয়নি। সাংবাদিকদের কাজ জিজ্ঞাসাবদ করা না। জিজ্ঞাসাবাদ করা গোয়োন্দাদের কাজ।’
এখনও খুনীদের ধরা না পরা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘জীবিত ব্যক্তির ইন্টারভিউ নেওয়ায় (সাগর-রুনির সন্তান মেঘ) খুনীরা পালিয়ে গেছে।
বিএনপির সাম্প্রতিক আন্দোল প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, ‘বিএনপি সব সময়ই ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য বাকা পথ খোঁজে। তারা সোজা পথে বিশ্বাস করে না। অগণতান্ত্রিক পথ খোঁজে। আমরা গণতন্ত্র ও জনগণের ভোটাধিকারে বিশ্বাসী। জনগণ চাইলে আমরা আবার ক্ষমতায় আসবো। তারা না চাইলে আসবো না। জনগণ ঠিক করবে তারা কাকে ক্ষমতায় দেখতে চায়।’
প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় তিনি আরও বলেন, ‘জনগণ অতীতের এবং বর্তমান সরকারের কাজের তুলনা করে দেখবে। এরপরই তারা সিদ্ধান্ত নেবেন কাকে ভোট দেবেন। জনগণ কি জঙ্গিবাদ, দুর্নীতবাজদের চায়? নাকি উন্নতি চায়, সমৃদ্ধি চায়! সেটা জনগণ দেখবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘যুদ্ধপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে, আমরা এ বিচার শেষ করবো। বিরোধীদলীয় নেত্রীকে বলবো তাদের বাঁচানোর জন্য আন্দোলনের নামে জনগণকে কষ্ট দেবেন না। লাশের ওপর পা দিয়ে ক্ষমতায় যাওয়ার চেষ্টা করবেন না।’
প্রধানমন্ত্রী সাংবাদিক সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, ‘সাংবাদিকদের আরও দায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে। তাদের ছোট্ট শিশুর বারবার যে সাক্ষাৎকার নেয়া হয়েছে সেটা ঠিক হয়নি। দয়া করে শিশুটিকে একটু রেহাই দিন। তদন্ত কাজে সাহায্য করেন। ঘটনাস্থলে এতো বেশি লোকজন প্রবেশ করেছে যে আলামতই নষ্ট হয়ে গেছে। এধরণের কোনো ঘটনা ঘটলে সেখানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য ছাড়া অন্যকেউ ঢুকে আলামত নষ্ট করবেন না।’