সরকারের পক্ষে বেডরুম পাহারা দেওয়া সম্ভব নয়

সরকারের পক্ষে বেডরুম পাহারা দেওয়া সম্ভব নয়

সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দুই সাংবাদিককে নিজের ঘরে মারা হয়েছে। সরকারের পক্ষে কারও বেডরুম পাহারা দেওয়া সম্ভব নয়। তবে বিষয়টি তদন্ত হচ্ছে।
এ ছাড়া, ওই সাংবাদিক দম্পতির শিশুসন্তান মেঘের কাছে যেভাবে সাংবাদিকেরা ঘটনার বর্ণনা জানতে চেয়েছেন সেই বিষয়টি সম্পর্কে শেখ হাসিনা বলেন, এটি সাংবাদিকদের কাজ নয়, এটি গোয়েন্দাদের কাজ।
আজ বৃহস্পতিবার সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের তৃণমূল নেতা-কর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, গণমাধ্যম এখন স্বাধীনভাবে কাজ করছে। তবে অনেক সময় মিথ্যা, অসত্য তথ্য দিচ্ছে এবং মনগড়া সংবাদ পরিবেশন করা হচ্ছে। সাগর-রুনি হত্যাকারীদের বিচারের দাবিতে সাংবাদিকেরা এক হয়েছেন।
সাংবাদিক মানিক সাহা, হুমায়ুন কবীর বালু হত্যাকাণ্ডের পর যদি সাংবাদিকেরা এভাবে নামত তাহলে হয়তো এ আজ ধরনের ঘটনা ঘটত না। সে সময় বিএনপি ক্ষমতায় ছিল তাই হয়তো সাংবাদিকেরা রাস্তায় নামেনি বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, একমাত্র প্রত্যক্ষদর্শী মেঘের সাক্ষাত্কার নেওয়ায় হত্যাকারীরা এখন আড়ালে চলে গেছে। প্রধানমন্ত্রী এ ধরনের ঘটনায় গোয়েন্দা ও পুলিশ কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে যাওয়ার আগে কেউ যেন আলামত নষ্ট না করেন সেই অনুরোধ জানান। বরং সবাইকে তথ্য দিয়ে সহায়তার করার কথা বলেন তিনি। একই সঙ্গে তিনি এসব ঘটনায় ছোট্ট শিশুদের রেহাই দিতে বলেন।
বিএনপি প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না। তারা ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য অগণতান্ত্রিক পন্থা খোঁজে।
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচাতে আন্দোলনের নামে জনগণকে কষ্ট দিবেন না। লাশের ওপর পা দিয়ে ক্ষমতায় যেতে চেষ্টা করলে জনগণ তা মেনে নেবে না।’
জাতীয় সংসদে বিএনপির সাংসদদের কথা এসে কথা বলতে দেওয়া হয় না এমন অভিযোগ সম্পর্কে শেখ হাসিনা বলেন, ‘নবম জাতীয় সংসদে খালেদা জিয়া সর্বসাকুল্যে পাঁচ-ছয় দিন সংসদে এসেছেন। এর মধ্যে চার দিন বক্তৃতা দিয়েছেন। একেকটা এক ঘণ্টার কম নয়, সর্বোচ্চ দেড় ঘণ্টা বক্তব্য দিয়েছেন তিনি। অথচ আমি বিরোধীদলীয় নেতা থাকাকালে ৭২ বার দাঁড়ানোর পর বলতে দেওয়া হয়নি।’
আজকের এ মতবিনিয়ম সভায় অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবুদল মুহিত, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, মাহবুবুল আলম হানিফ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ শীর্ষ খবর