দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর বিরুদ্ধে সাক্ষী হাজির করতে ব্যর্থ হওয়ায় রাষ্ট্রপক্ষের প্রসিকিউটরকে আবারও ভর্ৎসনা করেছেন ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হক।
রাষ্ট্রপক্ষের প্রসিকিউটর সময় প্রার্থনা করতে চাইলে তিনি প্রসিকিউটর সৈয়দ হায়দার আলীকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘সাক্ষী আসেনি তাই তো। এটাতো আপনাদের কমন সাবমিশন। আপনারা ডেট দেবেন আর ওই ভদ্রলোকদের (মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে গ্রেফতার হওয়া) কষ্ট দেবেন।’
বিচারপতি নিজামুল হক আরো বলেন, ‘যেহেতু আপনারা নির্দিষ্ট তারিখে সাক্ষী উপস্থিত করতে পারছেন না, তাহলে কোন তারিখে সাক্ষী উপস্থিত করাতে পারবেন সেটা চিন্তা করে আপনার সাক্ষী আপনিই ডেট দেন।’
তখন হায়দার আলী বলেন, ‘আগামীতে আমি যে ক’জন পারি সাক্ষী হাজির করার চেষ্টা করব।’
প্রতিক্রিয়ায় বিচারপতি নিজামুল হক বলেন, ‘আবার চেষ্টা?’
৪ মার্চ সাঈদীর বিরুদ্ধে পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের দিন নির্ধারণ করেছেন ট্রাইব্যুনাল।
এদিন দৈনিক জনকণ্ঠ পত্রিকার ২টি রিপোর্ট ট্রাইব্যুনালের নজরে আনেন জামায়াতের অ্যাড. তাজুল ইসলাম। তিনি রিপোর্ট দু’টি আদালতে জমা দিয়ে বলেন, ‘কারো বিরুদ্ধে আমাদের বিদ্বেষ নেই। মিডিয়ার বিরুদ্ধে আমরা কথা বলতে চাই না। কিন্তু এখানে যা হয়েছে, এটা আদালতে না এনে পারছি না। তারা একের পর এক যেভাবে মিথ্যাচার করে আসছে তাতে মিথ্যা পাবলিক পারসেপশন তৈরি হচ্ছে।’
বিচারপতি নিজামুল হক বলেন, ‘আমরা চামড়া মোটা করেছি। অনেক কিছুই আর আমরা গায়ে মাখছি না। আপনি কি একটা ম্যাচের কাঠি জ্বালিয়ে পুরো গ্রাম পুড়তে চান। এরকম মিথ্যা রিপোর্ট ভুরি ভুরি আছে, কই সেগুলো নিয়ে তো আমরা কথা বলি না।’
তাজুল বলেন, ‘মাই লর্ড, এর আগে আপনি নিউএজ ও দিগন্তকে সতর্ক করেছেন।’
এরপর ট্রাইব্যুনাল বলেন, রোববার এ বিষয়ে আদেশ দেওয়া হবে।
জনকণ্ঠের রিপোর্টার বিকাশ নারায়ণ দত্তকে পরবর্তী নির্ধারিত দিবসে আদালতে উপস্থিত থাকার জন্য বলা হয়েছে। তবে এটা আদালতের লিখিত কোনো আদেশ নয়।
এছাড়া গোলাম আযমের সঙ্গে তার আইনজীবীদের আগামী ৩, ১০ ১৭ মার্চ সকাল ১০টা থেকে ১টা পর্যন্ত দেখা করার সময় দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।
অন্যদিকে বৃহস্পতিবার জামায়াতা নেতা আলী আহসান মো. মুজাহিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নেওয়ার তারিখ নির্ধারণ থাকলেও তার আইনজীবীদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আগামী ১১ মার্চ পর্যন্ত তা মুলতবি করেন ট্রাইব্যুনাল।