এবার আইনমন্ত্রীর বক্তব্য আদালতের নজরে

এবার আইনমন্ত্রীর বক্তব্য আদালতের নজরে

প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার পর এবার আদালত নিয়ে কথা বলায় আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের বক্তব্য আদালতের নজরে আনা হয়েছে।

বুধবার বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার ও বিচারপতি খুরশীদ আলম সরকারের হাইকোর্ট বেঞ্চের নজরে আনেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন।image_84807_0

পত্রিকায় প্রকাশিত দুটি বক্তব্যের ফটোকপি সকালে প্রথম আপিল বিভাগের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। এ সময় আপিল বিভাগ সংশ্লিষ্ট কোর্টে যাওয়ার পরামর্শ দিলে পরে বিষয়টি হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট বেঞ্চের বিষয়টি উপস্থাপন করেন খন্দকার মাহবুব হোসেন।

তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী আদালত প্রসঙ্গে যে বক্তব্য দিয়েছেন তা আদালত অবমাননার শামিল। তার বক্তব্য আদালতকে অপমান করেছে।”

এ সময় আদালত বলেন, “প্রধানমন্ত্রী আদালতের কোনো আদেশ অমান্য করেননি। আদালত প্রসঙ্গে তিনি বক্তব্য দিয়েছেন। কিন্তু আদালতের কোনো আদেশ অমান্য করেননি।”

আদালত বলেছেন, “আমাদের বিচারের একটা সীমাবদ্ধতা রয়েছে। আমাদের আদেশ লঙ্ঘন হলে আমরা আরেকটি আদেশ দিতে পারতাম; এখতিয়ারের বাইরে যেতে পারবো না।”

পরে আদালত বিষয়টি অনিষ্পন্ন রেখে বক্তব্যের কপি দুটি রেখে দিয়েছেন।

মঙ্গলবার এক বক্তব্যে আইনমন্ত্রী বলেন, “বিচারকদের সীমানা অতিক্রম করা উচিত নয়। তাদের এমন কিছু করা উচিত নয়; যাতে করে বিচারিক নৈরাজ্য তৈরি হয়।”

অন্যদিকে জাপান সফর নিয়ে গত ৩১ মে শনিবার বিকেলে গণভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে আদালতের প্রসঙ্গ টেনে বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রী। ওই বক্তব্য রোববার বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে প্রকাশ হয়।

প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে বলেছেন, “তদন্ত চলাকালে আদালত এমন নির্দেশ দিলে সিভিল প্রশাসনের কী করণীয় থাকে? আমরা যখন এক পা এগোই, তখন তারা দুই পা পিছিয়ে দেয়। তাদের (র্যা ব কর্মকর্তা) চাকরি থেকে বের করে দেয়া হয়েছে, তদন্ত হবে। সেখানে প্রমাণ হওয়ার আগেই হাইকোর্টের বেঞ্চ কীভাবে তাদের গ্রেফতারের নির্দেশ দেন? আমার এ কথা কোর্ট কনটেমপ্ট করতে পারে; আমি কেয়ার করি না।”

প্রধানমন্ত্রীর এ বক্তব্য রোববার ওই একই আদালতের নজরে আনেন আইনজীবী তামজিদা মিলা।

বাংলাদেশ