বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে ফের গুলি বর্ষণ ও মর্টার শেল নিক্ষেপ করেছে মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি)। তবে কোন হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা সীমান্তের জামছড়ি এবং প্রত্যাঝিড়ি এলাকার ৪৫/৪৬ নম্বর সীমান্ত পিলারের কাছে মঙ্গলবার রাত পোনে ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
আষাঢ়তলী ইউপি মেম্বার মোহাম্মদ নাছির জানান, রাত পোনে ১০টার সময় হঠাৎ আষাঢ়তলীর জামছড়ি এলাকায় মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী গুলি বর্ষণ ও মর্টার শেল নিক্ষেপ করে। গুলি বর্ষণের ঘটনায় সীমান্তবাসীদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
এ বিষয়ে বান্দরবান বিজিবি সেক্টর কমান্ডার কর্নেল সাইফুল ইসলাম জানান, গুলি বর্ষণের ঘটনা এখনও নিশ্চিত নয়। তবে বিষয়টি খবর নিয়ে দেখা হচ্ছে।
স্থানীয়রা জানান, মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনীর গুলিতে বিজিবির নায়েক সুবেদার মিজানুরের মৃত্যুর ঘটনায় ছয়দিন ধরে সীমান্তে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। দু’দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি-বিজিপি’র মধ্যে কয়েক দফা গোলাগুলির ঘটনাও ঘটেছে। ভারি অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে মুখোমুখি অবস্থানে রয়েছেন বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্যরা।
মঙ্গলবার রাতে গুলি বর্ষণের ঘটনায় সীমান্তে আবারও উত্তেজনা বেড়েছে। সীমান্ত অঞ্চলের মানুষদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। তবে মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনীর গুলি বর্ষণের সময় জামছড়ি ও প্রত্যাঝিড়ি এলাকায় বিজিবির কোনো সদস্য উপস্থিত ছিলেন না। মিয়ানমারের রোহিঙ্গা সলিডারেটি অর্গানাইজেশনকে (আরএসও) লক্ষ্য করে এ গুলি বর্ষণ ও মর্টারশেল নিক্ষেপ করেছে মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী।
প্রসঙ্গত, ২৮ মে নাইক্ষ্যংছড়িতে দৌছড়ি সীমান্তে বিজিবি টহল দলের ওপর গুলি বর্ষণ করে মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে পাইনছড়ি ক্যাম্প কমান্ডার নায়েক সুবেদার মিজানুর রহমান মারা যান। মৃত্যুর পর অস্ত্রসহ বিজিবি সদস্যের লাশ নিয়ে যায় মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী। ঘটনার তিনদিন পর শনিবার বিকাল পাঁচটায় বিজিবির কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে মৃতদেহ হস্তান্তর করে মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী। পরে ২ জুন হেলিকপ্টারযোগে মিজানুরের মৃতদেহটি গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার দেবিদ্বারে নেওয়ার পর রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তাকে দাফন করা হয়।