কবরস্থান থেকে চিৎকার ‘মা বাঁচাও বাবা বাঁচাও আল্লাহ’

কবরস্থান থেকে চিৎকার ‘মা বাঁচাও বাবা বাঁচাও আল্লাহ’

pechaগত চার ধামরাইয়ের কালামপুর ভালুম কবরস্থানে অলৌকিক ঘটনা ঘটেছে দিন ধরে একটি পেঁচা পাখির কণ্ঠে মানুষের মতো ভাষায় কণ্ঠ দিয়ে ‘মা বাঁচাও বাবা বাঁচাও আল্লাহ’ শব্দ করে চিৎকার করছে।

পাখির এই চিৎকার শব্দ ধামরাই উপজেলাসহ পাশ্ববর্তী কয়েকটি উপজেলায় ছড়িয়ে পড়েছে। আর পাখিটি এক নজর দেখার জন্য প্রতিদিনই হাজার হাজার মানুষ ওই কবরস্থানের পাশে হুমড়ি খেয়ে পড়ছে। আবার অনেকে ওই পেঁচা পাখিটির ছবি ও কন্ঠ ভিডিও চিত্র ধারণ করছে।

স্থানীয়রা জানান, ধামরাইয়ের কালামপুর ভালুম কবরস্থানে একটি মেহগনি গাছের মধ্যে একটি পেঁচা পাখি শনিবার বিকেল থেকে হঠাৎ করে মানুষের মতো ‘মা বাঁচাও বাবা বাচাও’ আল্লাহ শব্দ করছে।

এ সময় ওই দিন বিকেলে এলাকার কিছু লোক এ কন্ঠ শোনে হতবাক হন। পরের দিন রোববার সকালেও পাখিটি একই কন্ঠে চিৎকার করছে কবরস্থানে। পরে প্রথমে এলাকা পরে ধীরে ধীরে এ অলৌকিক খবর ধামরাই উপজেলাসহ পাশের আশুলিয়া, সাভার, সাটুরিয়া, মির্জাপুর ও নাগরপুর এলাকার লোক মুখে ছড়িয়ে পড়ে।

আর লোকজন বিষয়টি অবাস্তব মনে করে পাখিটি এক নজর দেখা ও ওই শব্দ শোনার জন্য ভালুম গ্রামের ওই কবরস্থানে আসতে থাকে। হাজারো লোক কবরস্থানের পাশে ভিড় করলেও পাখিটি কবরস্থান থেকে উঠে যাচ্ছে না এবং কন্ঠও বন্ধ করছে না।

তবে ভালুম গ্রামের কেন্দীয় জামে মসজিদের পেশ ইমাম মুফতি আশরাফ আলী বলেন, পশুপাখিদের ভাষায় আল্লাহর জিকির করে যা সৃষ্টিগত স্বভাব। এটা অলৌকিক কিছু নয়। তিনি বলেন, মানুষ পশুপাখির কন্ঠস্বর ভিন্ন ধরনের বাক্যে রূপান্তরিত করে প্রচার করে যাচ্ছে যা ইসলামে কোন ভিত্তি নেই।

ভালুম গ্রামবাসী জানান, দুর-দুরান্ত থেকে এ পাখি দেখার জন্য লোকজন যেভাবে কবরস্থানে আসছে তাতে এখানে লোকজনের আর ঠাই হচ্ছে না।

 

অন্যান্য