কিন্তু গবেষণা যত এগিয়েছে, বিজ্ঞানীদের ভুল ভেঙেছে। ১৯৯৫ তে বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করেন ৫১ পিগাসি বি (৫১ চবমধংর ন)। বৃহস্পতির মতো দেখতে কিন্তু এই বিশালাকার গ্যাসীয় গ্রহের তাপমাত্রা বৃহস্পতির থেকে কয়েকশো গুণ বেশি।
সম্প্রতি বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করেন “মিনি নেপচুন”। পৃথিবীর থেকে খুব একটা বড় নয়। কিন্তু এই গ্রহগুলো যতটাই কঠিন জলের সম্ভাবনা ততটাই বেশি। এমন রহস্যময় মহাবিশ্বে মাঝের মধ্যেই বিজ্ঞানীরা দ্বন্দ্বে পড়ে যান। কিন্তু হার্ভাড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা সাংবাদিক বৈঠক করে জানিয়েছেন, তাঁরা এমন এক গ্রহের সন্ধান পেয়েছেন এই মহাবিশ্বের সব থেকে বড় গ্রহ। পরিভাষায় যাকে বলে মেগা আর্থ (গবমধ ঊধৎঃয)। ওজনে পৃথিবীর থেকে প্রায় ১৭ গুণ ভারী।
এই গ্রহ কেপলার ১০ সি (টেন সি) নামে পরিচিত। কিন্তু হার্ভাড বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্যোর্তিবিজ্ঞানী ডিমিটার স্যাসোলভ এই গ্রহের আয়তন নিয়ে ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বলেছেন, “এটি হলো পৃথিবীর গডজিলা”। পৃথিবী থেকে ৫৬০ আলোকবর্ষ দূরে এই গ্রহের অবস্থান। আমাদের গ্রহের মতো দেখতে হলেও প্রাণের কোনো অস্তিত্ব নেই। তবে ভবিষ্যতে জলের সন্ধান মিলতেও পারে কারণ অক্সিজেনের উপস্থিতি রয়েছে। কেপলার ১০ সি-র মধ্যাকর্ষণ শক্তি এতই বেশি, বিশাল তাপ ও চাপে সবকিছু কঠিনে পরিণত হয়েছে। তবে সেখানে কেপলার ১০ সি একাই নেই, রয়েছে সহোদর কেপলার ১০ বি। ২০১১ তে আবিষ্কার হয়। পৃথিবীর চেয়ে প্রায় তিন গুণ বড় এই গ্রহ। সূত্র-জিনিউজ