অর্থনৈতিক জোন গঠনে ৯২ কোটি টাকা অনুমোদন

অর্থনৈতিক জোন গঠনে ৯২ কোটি টাকা অনুমোদন

দেশের চারটি স্থানে বিশেষ অর্থনৈতিক জোন গঠনে ৯১ কোটি ৯৫ লাখ টাকার প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)।

মঙ্গলবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত একনেক বৈঠকে এ প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা।image_94150_0.gif

বৈঠক শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল সাংবাদিকদের এ বিষয়ে অবহিত করেন।

তিনি জানান, ‘বাংলাদেশ ইকোনোমিক জোনস ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট’ শীর্ষক এ প্রকল্পের আওতায় সিরাজগঞ্জ, মৌলভীবাজার, চট্টগ্রামের আনোয়ারা ও মীরসরাইয়ে বিশেষ অর্থনৈতিক জোন গঠন করা হবে। ইপিজেডের সঙ্গে এর পার্থক্য হলো ইপিজেডে শুধু রপ্তানিনির্ভর পণ্য উৎপাদন করা হয় কিন্তু বিশেষ অর্থনৈতিক জোনে সব ধরনের পণ্য উৎপাদন করা হবে। বিদেশি উদ্যোক্তাদের বিনিয়োগে আকৃষ্ট করা ও দেশের মানুষের কর্মসংস্থান এ অর্থনৈতিক জোন গঠনের উদ্দেশ্য।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আওতায় বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা) প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে। প্রকল্প বাস্তবায়নে সরকার ২ কোটি ২৫ লাখ টাকা এবং প্রকল্প সাহায্য থেকে ৭৯ কোটি ৭০ লাখ টাকা ব্যয় করা হবে। প্রকল্পটি ২০১৬ সালের জুনের মধ্যে বাস্তবায়নের কথা রয়েছে।

বৈঠকে অর্থনৈতিক জোন গঠনসহ মোট চারটি প্রকল্পে ৩ হাজার ৩৯৪ কোটি ৪০ লাখ টাকা অনুমোদন দেয়া হয়। এর মধ্যে সরকারি অর্থায়ন ২২২ কোটি ৬৩ লাখ টাকা, প্রকল্প সাহায্য ৩ হাজার ১৭১ কোটি ৭৭ লাখ টাকা। চারটি প্রকল্পের মধ্যে নতুন প্রকল্প ২টি। ২টি প্রকল্প সম্পূর্ণ সরকারি অর্থায়নে বাস্তবায়িত হবে।

বৈঠকে বাস্তবায়নাধীন ‘ইমার্জেন্সি ২০০৭ সাইক্লোন রিকভারি অ্যান্ড রেন্ট্রোরেশন প্রজেক্টে (ইসিআরপিএস)’ নামক সংশোধিত প্রকল্পটি পাস হয়। এর মূল অনুমোদিত ব্যয় ৭৫৫ কোটি ২০ লাখ টাকা এবং সংশোধিত প্রাক্কলিত ব্যয় ৩ হাজার ১০৫ কোটি ৩২ লাখ টাকা। প্রকল্পটি ২০১৭ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে বাস্তবায়নের লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করা হয়েছে।

এছাড়া মিরপুর সেনানিবাসে সামরিক বাহিনী কমান্ড ও স্টাফ কলেজের অবকাঠামো সম্প্রসারণে ১৩৮ কোটি ৫৭ লাখ টাকা এবং কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য ৬৮ কোটি ৫৬ লাখ টাকার দুটি প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়।

একনেক বৈঠকে অন্যদের মধ্যে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত, কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী, ডাক, টেলিযোগাযোগ, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিমন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকী, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মোহাম্মদ ছায়েদুল হক, শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, পানিসম্পদমন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, দুর্যোগ ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

অর্থ বাণিজ্য