মার্কিন সেনার বিনিময়ে মুক্ত পাঁচ তালেবান বন্দীকে কাতারের হাতে তুলে দেয়ার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে আফগানিস্তান।
দেশটির সরকার বলছে মুক্ত বন্দীদের তৃতীয় কোন দেশের জিম্মায় ছাড়া আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন।
তবে বিরল এক বিবৃতিতে তালেবান নেতা মোল্লা ওমর এই চুক্তিকে একটি বড় সাফল্য বলে অভিহিত করেছেন।
বলা হচ্ছে, মুক্ত ঐ তালেবান সদস্যরা অন্তত এক বছর কাতার ছেড়ে বাইরে যেতে পারবেন না।
তবে, সংবাদদাতারা জানাচ্ছেন, ধারণা করা হচ্ছে ঐ পাঁচ তালেবান সদস্য হয়ত দলের খুবই গুরুত্বপূর্ণ ও ঊর্ধ্বতন নেতা। ফলে, অনেকে আশংকা করছেন দেশে ফিরে তারা আবারো সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়বেন।
এদিকে, আফগানিস্তানের সরকার বলছে, চুক্তির মাধ্যমে বন্দি হস্তান্তরের আগ পর্যন্ত তারা বিষয়টি সম্পর্কে অবগত ছিলেন না।
এছাড়া মুক্ত বন্দীদের কাতারের কাছে হস্তান্তরেরও তীব্র প্রতিবাদ জানায় কাবুল।
বিষয়টিকে আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন বলে অভিহিত করে যুক্তরাষ্ট্র ও কাতারের প্রতি বন্দীদের দেশে ফেরত পাঠানোর আহ্বান জানিয়েছে আফগান সরকার।
চুক্তি অনুযায়ী পাঁচজন ঊর্ধ্বতন জঙ্গির বিনিময়ে, আফগান তালেবানদের হাতে পাঁচ বছর ধরে আটকে থাকা একজন মার্কিন সেনাকে মুক্তি দেয়া হয়।
যুক্তরাষ্ট্র এরপর ঐ পাঁচ জঙ্গিকে কাতারের কাছে হস্তান্তর করে।
এদিকে, তালেবান নেতা মোল্লা ওমর এক বিরল বিবৃতিতে জানিয়েছেন, মার্কিন ঐ সেনার বিনিময়ে গুয়ানতানামো কারাগার থেকে তালেবান নেতাদের মুক্তি তাদের জন্য এক বিরাট অর্জন।
মুক্তিপ্রাপ্ত মার্কিন সেনা সার্জেন্ট বোয়ে বার্গডালের পরিবার জানিয়েছে, তারা এখনো তাদের ছেলের সাথে কথা বলেননি।
পরিবার জানিয়েছে, বার্গডালের সেরে উঠতে অনেক সময় লেগে যেতে পারে।
মুক্তির পর বার্গডাল জার্মানিতে এক মার্কিন সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
সূত্র: বিবিসি