আগের তিন ম্যাচে সাত গোল করেও কোনো গোল খায়নি মুক্তিযোদ্ধা। কিন্তু কাল আরামবাগের বিপক্ষে শুরুতেই গোল হজম করে বসল দলটি! শেষ পর্যন্ত কোনো অঘটন অবশ্য ঘটেনি। সানডে সিজোবার হ্যাটট্রিকে আরামবাগকে ৪-১ গোলে হারিয়ে সানন্দেই মাঠ ছেড়েছে শফিকুল ইসলামের দল।
সানডের প্রথম হ্যাটট্রিকটা বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের নতুন মৌসুমেরও প্রথম হ্যাটট্রিক। ৪ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে এখন পর্যন্ত পয়েন্ট তালিকায় সবার ওপরে মুক্তিযোদ্ধা। সমান ম্যাচে ৩ পয়েন্ট নিয়ে আরামবাগ রয়েছে আটে।
কাল দিনটিই ছিল সানডের। নিজে গোল করেছেন, করিয়েছেনও। গত মৌসুমে মোহামেডানে খেলে যেমন নজর কেড়েছিলেন, এবার মুক্তিযোদ্ধায় এসে কাল সে রকমই ঔজ্জ্বল্য ছড়িয়েছেন এই নাইজেরিয়ান স্ট্রাইকার।
রক্ষণভাগের অসতর্কতার কারণেই প্রথমে গোল খেয়ে বসে মুক্তিযোদ্ধা। ১৪ মিনিটে বাঁ প্রান্ত দিয়ে ফয়সালের বাড়ানো বলে এলিটা কিংসলের আলতো টোকায় ১-০ করে আরামবাগ। গোল খেয়েই অবশ্য হুঁশ ফেরে মুক্তিযোদ্ধার। গোল পরিশোধ করতে বেশি সময় নেয়নি। ১৮ মিনিটে লিমার ফ্রি-কিক, ব্যাক হেডে বক্সের মধ্যে বল ফেলেন সানডে। ভাসানো বলেই দর্শনীয় হেডে আরিফ ১-১ করে দেন স্কোর। ৩৩ মিনিটে পেনাল্টি থেকে দলকে এগিয়ে নেন সানডে (২-১)। এরপর শুধুই সানডের গল্প। দ্বিতীয়ার্ধে আরও উজ্জীবিত মুক্তিযোদ্ধার পক্ষে ৬৭ মিনিটে মামুনের থ্রু পাস পেয়ে গোল করেন সানডে (৩-১)। মিনিট চারেক পর মাঝমাঠ থেকে বল ধরে একক প্রচেষ্টায় কোনাকুনি শটে পূর্ণ করেন হ্যাটট্রিক। ৭৫ মিনিটে সানডেকে কোচ শফিকুল তুলে না নিলে গোলের সংখ্যা বাড়াতেই পারত মুক্তিযোদ্ধা। তবে সানডেকে তিনি তুলে নিয়েছেন চোটের ঝুঁকি এড়াতেই।
মুক্তিযোদ্ধার কাছে এই অসহায় আত্মসমর্পণ কেন? আরামবাগের কোচ জাহিদুর রহমানের ব্যাখ্যা, ‘আমি এখনো দলটাকে গুছিয়ে নিতে পারিনি। তা ছাড়া শুরুতেই বড় বড় দলের বিপক্ষে খেলতে হচ্ছে। আশা করি, পরের ম্যাচ থেকে ভালো করতে পারব।’ মুক্তিযোদ্ধা কোচ শফিকুল ইসলামের কণ্ঠে সানডের প্রশংসা, ‘সানডের ওপর আমার আস্থা ছিল। আগের ম্যাচগুলোয় সুযোগ তৈরি করেও গোল পাচ্ছিল না। আজ পেল। সামনে ও আরও ভালো খেলবে।’
মুক্তিযোদ্ধা: মোস্তাক, আরিফুল, শাকিল, মামুনুল, টিটু (রানা), ডেমি, রাফায়েল, লিমা, সানডে (শিহাব), এমিলি, মিঠুন (মারুফ)।
আরামবাগ: শাওন, শাহিন, ফয়সাল, ডালিম, গুডউইন, সোহাগ (রাসেল/টুটুল), পারভেজ (টিটু), বিপ্লব, মোজেস, কিংসলে, জোয়েল।