বান্দারবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ৩১ বিজিবি ব্যাটালিয়নে নিহত বিজিবি নায়েক সুবেদার মিজানুর রহমানের প্রথম নামাজে জানাজা সম্পন্ন হয়েছে। সোমবার সকাল ৯টার দিকে এই নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এতে ৩১ বিজিবি ব্যাটালিয়নের শীর্ষ পদের কর্মকর্তা ও নায়েক সুবেদার মিজানুর রহমানের সহকর্মীরা অংশ নেন।
এরপর হেলিকপ্টারে করে নায়েক সুবেদার মিজানুর রহমানের মরদেহ কুমিল্লায় গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হবে এবং সেখানে তার দাফন সম্পন্ন হবে।
২৮ মে সকালে বিজিবির সদস্যরা বাংলাদেশ সীমান্তের (নাইক্ষ্যংছড়ি-মিয়ানমার সীমান্তে) ৫২ নম্বর পিলারের কাছে পাইনছড়ি এলাকায় টহল দেয়ার সময় মিয়ানমারের ১ নম্বর সেক্টরের ভেন্ডুলা বিজিপি (বর্ডার গার্ড পুলিশ) ফাঁড়ির সীমান্তরক্ষীরা তাদের লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করে। এতে বিজিবি সদস্য নায়েক সুবেদার মিজানুর রহমান গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। সেসময় মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী তাকে ধরে নিয়ে যায়।
শনিবার বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে পাইনছড়িতে বিজিবির কাছে মিজানুর রহমানের লাশটি হস্তান্তর করে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিজিপি)।
এদিন বিজিবির ৩ সদস্যবিশিষ্ট একটি প্রতিনিধি দল মিয়ানমারে যান। সেখানে আধাঘণ্টা পতাকা বৈঠকের পর নিহত বিজিবি সদস্য মিজানুর রহমানের লাশ ফেরত দেয় বিজিপি।
রবিবার দুপুরে লেম্বুছড়ি ক্যাম্প থেকে মরদেহ নাইক্ষ্যংছড়ির ৩১ বিজিবি ব্যাটালিয়ন কার্যালয়ে আনা হয়। এর আগে ভোরে তার মরদেহ লেম্বুছড়ি ক্যাম্পে আনা হয়েছিল।
এদিকে নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে গুলিবর্ষণের পর সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। বিজিবির সদস্য সংখ্যাও বাড়ানো হয়েছে এবং টহল জোরদার করা হয়েছে।