যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দলে কিছু পরগাছা-আগাছা ঢুকেছে যার বাস্তব নিদর্শন হচ্ছে (নারায়ণগঞ্জ ও ফেনী)। এ পরগাছা-আগাছাকে সমূলে উপড়ে ফেলা হবে।
দুপুরে ভোলার লালমোহন উপজেলায় ভোলা-চরফ্যাশন সড়কের লাঙ্গলখালী ব্রিজের উদ্বোধন শেষে লালমোহন বাজারে জনসভায় তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগে হাইব্রিড, ফরমালিন যুক্ত নেতা ঢুকেছে। ওই সব হাইব্রিড ও ফরমালিন যুক্ত নেতাদেরকে সনাক্ত করে উৎপাটন করা হবে।
বিরোধী দলের প্রতি তিনি বলেন, আপনারা নিয়মতান্ত্রিকভাবে আন্দোলন করুন। সারাদেশে আন্দোলনের নামে নৈরাজ্য, হত্যা, সন্ত্রাস ও সড়কের পাশের গাছ কেটে দেশের সম্পদ নষ্ট করার নাম রাজনীতি নয়।
“ফান্দে পড়িয়া বগায় কান্দে রে” এ পুরনো একটি প্রবাদ বাক্য উচ্চারণ করে মন্ত্রী বলেন, যদি কেউ ভুল করে তবে তাকে তার প্রায়শ্চিত্ব করতে হয়। ঠিক তেমনি বিএনপি নেতারা নির্বাচনে না এসে ভুল করেছেন। এখন তারা ওই ‘ফান্দে পড়িয়া বগায় কান্দে রে’ এর মতো অবস্থা হয়েছে। কেননা তারা যদি নির্বাচনে আসত- তাহলে বিজয়ী না হতে পারলেও অন্তত সংসদে বিরোধী দল হিসেবে থাকতে পারতো। বর্তমানে তাদের কোনো অবস্থানই নেই।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সারাদেশে শুদ্ধি অভিযান চলছে। এ শুদ্ধি অভিযানের আওতায় পড়বে তাদের সবাইকে দল থেকে ছাটাই করা হবে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বর্তমানে রাজনীতি থেকে মূল্যবোধ, সৌজন্যবোধ উঠে গেছে। এ ধ্যান-ধারণা পরিহার করতে হবে। মন্ত্রীর কাজ হচ্ছে- জনগণকে খুশি করা, মানুষের কাজ মন্ত্রীকে খুশি করা নয়। কারণ জনগণ আমাদের নির্বাচিত করে প্রতিনিধিত্ব করার ক্ষমতা দিয়েছে। তাই জনগণের ভালোবাসা অর্জন করতে হবে, তবেই সঠিক রাজনীতি করা।
বিশেষ অতিথি’র বক্তৃতায় ভোলা-৩ আসনের সংসদ সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন বলেন, দীর্ঘ ২৩ বছরেও হাফিজ সাহেব লালমোহনের তেমন কোনো উন্নয়ন করেননি। ওই সময়ে এ লাঙ্গলখালী ব্রিজটি জরাজীর্ণ অবস্থা পড়েছিল। কিন্তু কোনো সংস্কার বা নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করেননি।
তিনি বলেন, আগামী ৫ বছরে লালমোহন-তজুমদ্দিনের সব জায়গায় বিদ্যুৎ পৌঁছে দেয়ার কথাও বলেন। এমনকি লালমোহন-তজুমদ্দিনকে গোপালগঞ্জ বানাবেন বলেও ঘোষণা করেন।
অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা ফখরুল আলম হাওলাদার।