দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচ কর্মকর্তাকে শুক্রবার বরখাস্ত করা হয়েছে। মোদি সরকারের মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী স্মৃতি ইরানির শিক্ষাগত যোগ্যতার তথ্য ফাঁস করার দায়ে তাদেরকে বরখাস্ত করা হয় বলে জানিয়েছে হিন্দুস্তান টাইমস পত্রিকা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে পত্রিকাটি জানায়, ওই পাঁচ কর্মকর্তা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্মুক্ত শিক্ষাক্রমের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন এবং মন্ত্রীর শিক্ষা সংক্রান্ত গোপন দলিল ফাঁস করে দেয়ার কারণে তাদের চাকুরি থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। এরা ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের নিম্নসারির কর্মকর্তা এবং শিক্ষকতার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না।
ভারতের এক হিন্দিভাষী পত্রিকায় স্মৃতি ইরানির শিক্ষা সংক্রান্ত তথ্য ফাঁসের খবর প্রকাশিত হওয়ার পর দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে এ ব্যবস্থা নিলেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
ওই দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারতের নতুন মানব সম্পদ মন্ত্রী গত বছর উন্মুক্ত স্কুলে ভর্তি হয়েছিলেন। কিন্তু তিনি পরীক্ষায় অংশ নেননি।
ভারতের টিভি সিরিয়ালের একসময়ের জনপ্রিয় এই অভিনেত্রী মন্ত্রী হিসেবে শপথ নেয়ার পর থেকেই গত কয়েকদিন ধরে তার শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে কংগ্রেস এবং ক্ষমতাসীন বিজেপির মধ্যে বাক বিতণ্ডা শুরু হয়েছে।
কংগ্রেসের অভিযোগ, স্মৃতি তার নির্বাচনী হলফনামায় নিজের শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে মিথ্যা তথ্য দিয়েছিলেন। তিনি ২০০৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে অংশ নেয়ার সময় হলফনামায় বলেছিলেন, ১৯৯৬ সালে তিনি দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএ পাস করেছেন। কিন্তু চলতি বছর ১৬তম লোকসভা নির্বাচনে তিনি দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্মক্ত বা ওপেন লার্নিং শিক্ষাক্রমের আওতায় ১৯৯৪ সালে বিকম পাস করেন বলে দাবি করেছিলেন।
মঙ্গলবার স্মৃতি ইরানিকে কটাক্ষ করে কংগ্রেস নেতা অজয় মাকেন টুইটারে মোদির মন্ত্রণালয়ের সমালোচনা করে বলেছিলেন,‘ কী একখান মন্ত্রিসভাই না বানিয়েছেন মোদি। তার এইচআরডি মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি ডিগ্রি পাসও করেননি। তার নির্বাচনী হলফনামার ১১ পৃষ্ঠায় গিয়ে দেখুন।’
জবাবে কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্থীর শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়েও পশ্ন তুলেন বিজেপি নেতারা।
পরিস্থিতির চাপে শেষমেষ বৃহস্পতিবার দেশবাসীর কাছে আবেদন জানান স্মৃতি। তিনি বলেন, শিক্ষাগত যোগ্যতা নয়, তাকে যেন তার কাজ দিয়েই মূল্যায়ন করা হয়।