থাইল্যান্ডের সামরিক জান্তা দেশটিতে ১৫ মাসের শুদ্ধি অভিযান ঘোষণা করেছে। এরপরই অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় নির্বাচন। গার্ডিয়ান।
থাই সামরিক বাহিনীর প্রধান প্রেয়াথ চ্যানওচা শুক্রবার এ ঘোষণা দেন।
বক্তব্য দানকালে সামরিক শাসনের সমর্থন করে তিনি বলেন, দশকব্যপী পরিব্যাপ্ত রাজনৈতিক অস্থিরতা নিরসন করে শান্তিময় সাম্রাজ্য পুনঃস্থাপনে সামরিক অভ্যুত্থানের প্রয়োজন আছে।
থাই রাজা ভূমিবল আদুলযাদেজের সমর্থন লাভের পর প্রথমবারের মতো টেলিভিশন গণমাধ্যমে জনগণের সামনে উপস্থিত হন প্রেয়াথ। তিনি আন্তর্জাতিক মহলের উদ্বেগকে উপেক্ষা করেন বলে জানান।
সেইসঙ্গে ৬ কোটি ৭ লাখ মানুষের দেশটিতে পুনরায় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করে দেয়ার জন্যে ১৫ মাস সময় চেয়ে নেন।
তিনি বলেন, তার শাসনামলের প্রথম ৩ মাস শুধুমাত্র একটি বহুধাবিভক্ত জাতির পুনর্মিলনের জন্যে উৎসর্গীত হবে।
শাসনের ৩য় পর্যায়ে একটি পূর্ণাঙ্গ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার ভেতর দিয়ে থাইল্যান্ডে একটি সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
বিগত ২২ মে থাইল্যান্ডের ১৯তম সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে প্রেয়াথ চ্যান ওচা ক্ষমতা লাভ করেন।
উল্লেখ্য ১৯১৪ সালে উপমহাদেশের তৎকালীন ব্রিটিশ উপনিবেশগুলোতে প্রতিষ্ঠিত মার্শাল ল’ আজও স্বাধীন দেশগুলো (যেমন: থাইল্যান্ড, বাংলাদেশ, ভারত ইত্যাদি) নিজেদের স্বার্থে অপরিবর্তিত রেখেছে।
মার্শাল ল’ আইন প্রতিষ্ঠার ঠিক ১০০ বছরের মাথায় এই প্রাক্তন ব্রিটিশ উপনিবেশে সামরিক অভ্যুত্থান সংঘটিত হলো।