তারাই এখন আমেরিকার পাহারাদার

তারাই এখন আমেরিকার পাহারাদার

hackedaহ্যাকিং উপদ্রবের মোকাবিলা করতে আমেরিকার বড় বড় কোম্পানিগুলি এখন সাইবার সুরক্ষা বিশেষজ্ঞদের বোর্ডে আনার পক্ষপাতী৷ সাইবার নিরাপত্তা মজবুত করার লক্ষ্যে, জেপি মর্গান চেজ, পেপসি, ডিয়ার অ্যান্ড কোর মতো ‘ফরচুন ৫০০’ কোম্পানিগুলি এখন চিফ ইনফর্মেশন সিকিউরিটি অফিসার (সিআইএসও) পদে লোক নিয়োগ করছে৷

সাধারণত, সিআইএসওরা তাদের ঊর্ধ্বতন আধিকারিক চিফ ইনফর্মেশন অফিসারের (সিআইও) কাছেই রিপোর্ট করে থাকেন৷ কিন্ত্ত এখন, তাদের সিইও অথবা বোর্ড সদস্যদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করার স্বাধীনতা থাকবে৷

গত বছর, মার্কিন বহুজাতিক খুচরো বিক্রেতা টার্গেটের মতো বেশ কিছু ক্ষেত্রে ডেটাবেসের উপর হামলার পর এখন মনে করা হচ্ছে সিআইএসওরা শুধু প্রযুক্তিই নয়, কোম্পানির ব্যবসা এবং ঝুঁকি সামলানোর কৌশল সম্পর্কেও যথেষ্ট ওয়াকিবহাল৷

ডেল সিকিওরওয়ার্কস-এর শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তা ব্যারি হেন্সলির মতে, ‘জরুরি সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সিআইএসও-রাও সমান অংশীদার৷’

যাদের সামরিক বাহিনীতে তথ্যপ্রযুক্তি সামলানোর অভিজ্ঞতা রয়েছে, তারা ছাড়াও যারা এই কাজে বিশেষজ্ঞ, তাদের প্রচুর বেতন দিয়ে নিয়োগ করা হয়েছে৷ সাইবার সুরক্ষা বিশারদ ম্যাট কোমিন্স জানাচ্ছেন কিছু বড় সংস্থায় সিআইএসওদের বার্ষিক বেতন এখন ৫ লক্ষ থেকে ৭ লক্ষ ডলার৷ কয়েকটি ক্ষেত্রে, এমপ্লয়িজ স্টক অপশন ধরলে, অঙ্কটা ২০ লক্ষ ডলারও ছাড়িয়েছে৷ অন্য দিকে, যে সব সিআইএসওরা একই কোম্পানিতে পাঁচ বছরের বেশি রয়েছেন, তাদের বার্ষিক বেতন ২ লক্ষ থেকে ৩ লক্ষ ডলারের মধ্যেই ঘোরাফেরা করছে৷

সাইবার সুরক্ষা বিশারদরা বহুদিন ধরেই অভিযোগ করে আসছেন যে মার্কিন কোম্পানির একটা বড় অংশ হ্যাকার হামলা সম্পর্কে সজাগ নয়৷ পিডব্লুসি-র এক সাম্প্রতিক সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে ৫০০টি মার্কিন কোম্পানির মধ্যে মাত্র ২৮ শতাংশে সিআইএসও বা সিআইও আছেন৷

অবস্থা এখন পাল্টাচ্ছে৷ টার্গেট নিজেই সিআইএসও পদের জন্য বিজ্ঞাপন দিয়েছে৷ জেপি মর্গান চেজ তাদের সাইবার সুরক্ষা বাজেট দু’বছর আগের ২০ কোটি ডলার থেকে বাড়িয়ে এখন ২৫ কোটি ডলার করেছে৷

বিজ্ঞান প্রযুক্তি