বিটিভিতে ‘কীর্তিনাশা পরী’

বিটিভিতে ‘কীর্তিনাশা পরী’

বাংলাদেশ টেলিভিশনে আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি শনিবার রাত আটটার বাংলা সংবাদের পর প্রচার হবে এ সাপ্তাহিক নাটক ‘কীর্তিনাশা পরী’। তরুণ কবি রাজু আলীমের রচনা ও জয়নাল আবেদীন সরকারের প্রযোজনায় এই নাটকের অভিনয় শিল্পীরা হলেন মোহাম্মদ বারী, আফরোজা হাসান, লিটু আনাম, আবীর খান, আশরাফ সিদ্দিকী, জলি আহমেদ এবং রাজু আলীম। এই প্রথম একটি নাটকে চার চরিত্র পরী, হেনা, জেনী ও দাদীর ভূমিকায় অভিনয় করেছেন জলি আহমেদ।

এতে দেখা যাবে, ঢাকার একটি বিখ্যাত পত্রিকার সাংবাদিক শহর ছেড়ে মাঝে মাঝেই তাঁর জন্মস্থান শরীয়তপুরের কীর্তিনাশা নদীর পাড়ে নিজের গ্রামে বেড়াতে যায়। খুঁজে ফেরে তাঁর হারিয়ে যাওয়া প্রিয় নদী, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, গাছপালা, পশুপাখি, মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিমাখা স্থানগুলো, কিশোরবেলার বাল্যবন্ধু হেনা,তাঁর স্মৃতিঘেরা গ্রাম, তাঁর স্বপ্নে পাওয়া রাজকন্যা কীর্তিনাশা পরীকে। পাশের গ্রামের পরীরূপী হেনা আর রাজা কিংবা আফজাল খাঁর প্রেমের কল্পকাহিনী উঠে আসে এক ভিন্নমাত্রায়। রাজা পরীর প্রেমে উন্মাদ হয়ে যায়। রাজা মাঝে মাঝে হারিয়ে যেতো কীর্তিনাশা নদীর অতল তলে। পরীও হয়তো ভালোবেসে ছিলো রাজাকে। নশ্বর পৃথিবীর নিয়মে রাজা পরীর মিলন হয়নি কখনো।

‘কীর্তিনাশা’ পরী নিছক কোন প্রেমের গল্প নয়। এই নাটকে উঠে এসেছে হারিয়ে যাওয়া কীর্তিনাশা নদীর ইতিহাস। নদীর পাড়ের মানুষদের জীবন-যুদ্ধের গল্প, মুক্তিযুদ্ধের নানান স্মৃতি বিজড়িত স্থানগুলোর বর্ণনা, হারিয়ে যাওয়া ইতিহাস-ঐতিহ্য ও পৌরাণিক কাহিনীর সুলুক সন্ধান। সর্বোপরি কীর্তিনাশা পাড়ের একটি গ্রামের কল্পনাবিলাসী এক সাধারণ ছেলে রাজার কল্পনায় স্থান পাওয়া এক নারীমূর্তির প্রতিচ্ছবি। যে কিনা কখনো পরী, কখনো প্রেমিকা, কখনো দাদী কিংবা কখনো তার নিজের সঙ্গিনীর রূপ ছায়া হয়ে আশেপাশে ঘুরতো তার জীবনে। নারীমূর্তিকে সে কখনো বাস্তবে খুঁজে পায়, আবার কখনো হারিয়ে ফেলে কির্তিনাশার জলের অতলে। কীর্তিনাশা পরীর জন্য এক অনন্ত কালের হাহাকার উঠিয়ে আনার চেষ্টা করেছেন নাট্যকার।

বিনোদন