ফেনী জেলার ফুলগাজী উপজেলা চেয়ারম্যান একরামুল হক একরাম হত্যাকাণ্ডে ‘মূল পরিকল্পনাকারী’ উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জিহাদ চৌধুরীকে ৮ দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছেন আদালত।
সোমবার ফেনীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট খাইরুল আমীন এ আদেশ দেন।
রোববার সন্ধ্যা ৬টার দিকে ফেনী সদর থানার ওসি মাহবুব মোর্শেদের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে শহরতলীর বারাহীপুর থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
এর আগে একরাম হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার সন্দেহে ঢাকা থেকে ৮জন, কাউন্সিলর আবদুল্লাহিল শিবলুসহ মোট ১৩ জনকে রোববার রিমান্ডে নেয় পুলিশ।
এদের মধ্যে হত্যার অন্যতম ‘পরিকল্পনাকারী’ আবিদুল ইসলাম ওরফে আবিদ, জাহিদুল ইসলাম ওরফে সৈকত, চৌধুরী মো. নাফিজ উদ্দিন ওরফে অনিক, কাজী শানান মাহমুদ, মো. সাজ্জাদুল ইসলাম পাটোয়ারী ওরফে সিফাত, মো. শাহজালাল উদ্দিন ওরফে শিপন, জাহিদ হোসেন, হেলাল উদ্দিন ও কাউন্সিলর আবদুল্লাহিল শিবলুকে ৮দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়।
এছাড়া ফেনীতে গ্রেফতার হওয়া আনোয়ার, আলাউদ্দীন, বেলাল ও ইকবালকে একইদিন ৫দিনের রিমান্ডে নেয় পুলিশ।
প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে ফেনী শহরের একাডেমি সড়কে দুর্বৃত্তরা উপজেলা চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা একরামুল হককে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এরপর তার বহনকারী গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয় তারা। ঘটনাস্থলেই পুড়ে মারা যান একরামুল হক একরাম।
এদিকে একরামুল হকের সমর্থকরা আজ সোমবার ফেনীর ফুলগাজীতে বেলাল হোসেন পাটোয়ারি ওরফে বেলাল মেম্বার নামের এক স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতার বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। এসময় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতিসহ একটি গরু পুড়ে মারা যায়।